ফেডারেল পুলিশ ও র্যাপিড রেসপন্স ইউনিটের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা ওল্ড সিটির বাব আল-তব এলাকায় প্রবেশ করেছে।
তবে ইরাকি বাহিনীর জন্য এরপর অগ্রসর হওয়া কঠিন হয়ে যাবে। কারণ, এরপর থেকে অগ্রসর হওয়ার পথ এতটাই সরু যে সেখান দিয়ে ভারী অস্ত্রবাহী সমরযান প্রবেশ করতে পারবে না।
ইরাকে আইএস-র সর্বশেষ শক্তঘাঁটি মসুল থেকে জঙ্গি দলটিকে হটাতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে বড় ধরনের অভিযান শুরু করেছে ইরাক।
আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলা, স্নাইপার এবং মর্টার হামলার মাধ্যমে ইরাকি বাহিনীকে আটকানোর চেষ্টা করছে আইএস।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মসুলের আইএস নিয়ন্ত্রিত অংশে এখনও প্রায় ছয় লাখ বেসামরিক নাগরিক আটকা পড়ে আছে।
মসুলের ওই অংশটির সঙ্গে ইরাক বা সিরিয়ায় আইএস নিয়ন্ত্রিত অন্যান্য অংশের যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন করে দিতে সক্ষম হয়েছে ইরাকি বাহিনী।
মেজর জেনারেল মান আল-সাদি মসুলে সাংবাদিকদের বলেন, রোববার সিটিএস বাহিনী আল-জাদিদা এবং আল-আগাওয়াতে ব্যাপক অভিযান চালায়।
“শত্রুরা লড়াইয়ে হেরে গেছে এবং তাদের আত্মবিশ্বাস দুর্বল হয়ে পড়েছে। তারা আধিপত্য ও নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে।”
পশ্চিম মসুলের ৪০টি এলাকার মধ্যে ১৭টির দখল ইরাকি বাহিনী নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
পূর্ব মসুলের তুলনায় পশ্চিম মসুল থেকে আইএসকে হটাতে অর্ধেকের কম সময় লাগবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন সেনাকর্মকর্তা সাদি।
১০০ দিনের লাড়াই শেষে জানুয়ারিতে পূর্ব মসুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় ইরাকের সেনারা।
প্রায় তিন সপ্তাহ আগে টাইগ্রিস নদীর পশ্চিম পাড়ের জেলাগুলোতে অভিযান শুরু করে ইরাক। টাইগ্রিস নদী মসুলকে পূর্ব ও পশ্চিম দুই ভাগে ভাগ করেছে।
পশ্চিম মসুলে অভিযান শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ জীবন বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। মসুল থেকে গৃহহীন হওয়া মানুষের মোট সংখ্যা দুই লাখের বেশি।
২০১৪ সালের গ্রীষ্মে মসুলের একটি মসজিদ থেকেই আইএস প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদি ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামিক খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন।