মুক্তি পাওয়া একজন ফোনে বলেছেন, দুই জঙ্গি তাকেসহ বেজমেন্টে আটক থাকা আরও কয়েকজনকে বের করে নিয়ে এসে তাদের চোখ বেঁধে বাসে করে নিয়ে যায়। কিছুদুর যাওয়ার পর বাস থামিয়ে তাদেরকে নামানো হয়। এরপর চোখ খুলে দিয়ে জঙ্গিরা বলে, “যাও, তোমরা মুক্ত।” বাসে ২৫ জন বন্দি ছিল বলে জানান তিনি।
অধিবাসীরা জানিয়েছে, ধূমপানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিগারেট বিক্রি করা, মোবাইল ফোন রাখা কিংবা বর্হির্বিশ্বের সঙ্গে যোগেযোগের সন্দেহে এদেরকে আটক রেখেছিল জঙ্গিরা।
শুক্রবার মসুলের বন্দিদের এই মুক্তি শহরটিতে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত ইরাকি বাহিনীর অভিযানে আইএসের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ার আরেকটি লক্ষণ।
ইরাকে আইএসর সর্বশেষ ঘাঁটি মসুল জঙ্গি মুক্ত করার এ অভিযান শুরু হয়েছে ১৭ অক্টোবর থেকে।
ইরাকে ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে দখল করা বেশির ভাগ শহরেরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে আইএস। আইএসের স্বঘোষিত খিলাফতে ছিল মসুল থেকে শুরু করে সিরিয়ারও কিছু অংশ।
ইরাকি বাহিনী মসুলের পূর্বাঞ্চল থেকে জানুয়ারিতে আইএস কে হটিয়ে দেয় এবং ১৯ ফেব্রুয়ারিতে টাইগ্রিস নদীর পশ্চিমের এলাকায় অভিযান শুরু করে।