রোহিঙ্গারা ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার: জাতিসংঘ কর্মকর্তা

মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ সংঘটিত করছে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ। শীর্ষ এক জাতিসংঘ কর্মকর্তা একথা বলেছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 March 2017, 01:05 PM
Updated : 10 March 2017, 01:42 PM

মিয়ানমারে মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ কর্মকর্তা ইয়াঙ্গি লি বিবিসি নিউজনাইটে কথাগুলো বলেন।

তবে মিয়ানমারে প্রায় একবছর ধরে ক্ষমতায় থাকা অং সান সু চি’র মুখপাত্র বলেছেন, অভিযোগ ‘অতিরঞ্জিত’ করা হয়েছে এবং এ বিষয়টি একটি দেশের ‘অভ্যন্তরীন বিষয়’, আন্তর্জাতিক বিষয় নয়।

তাছাড়া, অং সান সু চিও বিষয়টি নিয়ে বিবিসি’র সঙ্গে কোনও সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হননি।

জাতিসংঘ কর্মকর্তা লি মিয়ানমারের সংঘর্ষ এলাকায় অবাধে প্রবেশাধিকার পাননি। তবে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি বিবিসি কে বলেন, পরিস্থিতি তিনি যা ভেবেছিলেন তার চেয়েও অনেক বেশি খারাপ।

“আমি বলব মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। মানবতার বিরুদ্ধে বার্মিজ, সেনাবাহিনী, সীমান্তপ্রহরী কিংবা পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীর সুনির্দিষ্ট অপরাধ চলছে।”

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান নিপীড়নের দায় মিয়ানমার সরকারের নেওয়া উচিত।

গত বছর অক্টোবরে জঙ্গি হামলার পর থেকে সেনাবাহিনীর শুরু করা দমনাভিযানের মুখে মিয়ানমার থেকে ৭০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা গত কয়েকমাসে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।

তাদের মুখ থেকে শোনা গেছে মিয়ানমারে রোহিঙ্গদের ওপর নির্যাতনের নানা কাহিনী। অনেক শরণার্থীর কথার প্রমাণ মিলেছে স্যাটেলাইটে তোলা ছবি এবং ভিডিও থেকেও।

মিয়ানমারের সংবিধান অনুসারে অং সান সু চি প্রেসিডেন্ট হতে না পারলেও কার্যত তাকেই নেত্রী হিসাবে দেখা হয়ে আসছে। কিন্তু ১৬ মাস আগে সু চি নির্বাচনে জয় পেয়ে ক্ষমতায় আসলেও তিনি রোহিঙ্গদের বিষয়টিনিয়ে কখনও কোনও সাক্ষাৎকার দেননি। কোনও সংবাদ সম্মেলনও করেননি।

সু চির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির মুখপাত্র উইন হেইন বিবিসি কে বলেছেন, মিয়ানমারের বর্তমান সংবিধানের আওতায় সু চির সেনাবাহিনীর রাশ টেনে ধরার কোনও ক্ষমতা নেই।

তবে মিয়ানমার সরকার নিজস্বভাবে সব অভিযোগের তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং একজন সাবেক জেনারেল এ তদন্ত কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।