‘নথি ফাঁসের’ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিআইএ এফবিআই

সিআইএর হ্যাকিং কৌশল ও নজরদারির পদ্ধতির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের দাবির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এজেন্সিগুলো ফৌজদারি তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 March 2017, 05:36 AM
Updated : 9 March 2017, 05:51 AM

তদন্তে এফবিআই ও সিআইএ সহযোগিতা করছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তারা, খবর বিবিসির।

মঙ্গলবার উইকিলিকসের ফাঁস করা কয়েক হাজার নথিতে সিআইএ বিভিন্ন সাইবার অস্ত্র ও ম্যালওয়ার ব্যবহার করে উইন্ডোজ, অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস, ওএসএক্স, লিনাক্স কম্পিউটার ও ইন্টারনেট রাউটার হ্যাক করে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে বলে প্রকাশ পেয়েছে।

সিআইএ স্মার্টফোন ও স্মার্ট টেলিভিশনে মাইক্রোফোন স্থাপনের মাধ্যমেও নজরদারির কৌশল বের করেছে বলে অভিযোগ করেছে উইকিলিকস।

ফাঁস করা নথিগুলো ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের বলে দাবি করা হয়েছে। প্রকাশিত নথিগুলোর সত্যতা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি সিআইএ, এফবিআই এবং হোয়াইট হাউস। এসব নথি আসল কিনা তাও নিশ্চিত করেনি সিআইএস।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নথিগুলো কীভাবে উইকিলিকসের হাতে গেল তদন্তে তা খুঁজে দেখা হচ্ছে।

সিআইএ-র ভিতরে থেকে এসব তথ্য পাচার করা হয়েছে না বাইরে থেকে এসব তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে, তা বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা। 

বিবিসিকে বুধবার সিআইএ-র এক মুখপাত্র বলেছেন, “সন্ত্রাসী ও শত্রুদের হাত থেকে আমেরিকাকে রক্ষায় নিয়োজিত গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সামর্থ্য ক্ষতি করার পরিকল্পনায় উইকিলিকস যদি কিছু ফাঁস করে থাকে তাতে মার্কিন জনগণ গভীর সঙ্কটে পড়বে।

“এ ধরনের তথ্য ফাঁসে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ও সামরিক অভিযানগুলোই ঝুঁকির মুখে পড়বে না, শত্রুরা আমাদের ক্ষতি করার জন্য অস্ত্রে ও তথ্যেও বলীয়ান হয়ে উঠবে।”

প্রকাশিত এসব নথিতে সিআইএ-র সংবেদনশীল কর্মকৌশলের বিস্তারিত তথ্য রয়েছে, যা গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির সক্ষমতাকেও প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।

তাদের ভাষ্য, যে প্রতিষ্ঠানের কাজই হচ্ছে অন্যের গোপনীয় তথ্য চুরি করা, তারা এখন নিজেদের তথ্যই সামলাতে পারছে না।

উইকিলিকসের নতুন এ ‘ফাঁসের’ কারণে সিআইএ এতদিন যাদের উপর নজরদারি চালাচ্ছিল তারা কৌশল বদলে ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

এছাড়া সিআইএ নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে এর অপব্যবহার করছে কি-না সে বিতর্কও উঠছে।

এর আগে এডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করা তথ্যে একইরকম বিতর্কে পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ)।