সন্দেহভাজন ‘জঙ্গি’ নিহত, লক্ষ্ণৌ অভিযান সমাপ্ত

কাঁদুনে গ্যাস ও স্মোক বোমা ব্যবহার করেও ভারতীয় পুলিশ জীবন্ত ধরতে পারলো না লক্ষ্ণৌয়ের সন্দেহভাজন জঙ্গিকে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 March 2017, 04:46 AM
Updated : 8 March 2017, 04:51 AM

থেমে থেমে ১২ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে গোলাগুলি চলার পর সন্দেহভাজন জঙ্গির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে স্থানীয় সময় বুধবার ভোররাত প্রায় ৩টায় শেষ হয় লক্ষ্ণৌর ঠাকুরগঞ্জের জঙ্গিবিরোধী অভিযান।

ঘটনাস্থলের বাড়িটিতে দুই জঙ্গি লুকিয়ে আছেন বলে ধারণা ছিল পুলিশের, কিন্তু অভিযান শেষে তারা জানিয়েছেন, মাত্র একটি লাশ পাওয়া গেছে; খবর এনডিটিভির।

নিহত জঙ্গির ঘর থেকে একটি পিস্তল, একটি রিভলবার ও একটি ছুরি উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।  

ভারতের উত্তর প্রদেশে রাজ্য নির্বাচন চলছে। সাত পর্বের এই নির্বাচনের শেষ পর্ব শুরুর আগের দিন বিকেলে লক্ষ্ণৌ অভিযান শুরু হয়। অভিযান শেষে যে ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে তাকে সাইফুল্লাহ হিসেবে শনাক্ত করেছে পুলিশ।

প্রতিবেশী রাজ্য মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী-ভোপাল যাত্রীবাহী ট্রেনে বোমা হামলার অন্যতম সন্দেহভাজন সাইফুল্লাহ। মঙ্গলবার সকালের ওই বোমা হামলায় নয়জন আহত হন। 

অভিযান শেষে জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা দলজিৎ চৌধুরি বলেছেন, “রাতে অন্ধকারের মধ্যে আমরা ভেবেছিলাম সেখানে দুই সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী আছে, কিন্তু এখন নিশ্চিত হওয়া গেছে সেখানে এক ব্যক্তিই ছিল।”

অভিযান চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনী বাড়িটির ছাদে একটি গর্ত করে ভিতরে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র দেখেছিল, এতে ভিতরে দুই জন আছে বলে ধারণা করেছিল।

পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াডের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অসীম অরুণ বলেন, “ভিতরের অবস্থা জানার জন্য আমরা মাইক্রো-টিউব ক্যামেরা ব্যবহার করেছিলাম। ছবি পরিষ্কার ছিল না, এই কারণে দুজন সন্ত্রাসী আছে ভেবেছিলাম।”

ওই বাড়িতে লুকিয়ে থাকা সন্দেহভাজনকে বের করে আনতে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে অভিযান শুরু করেছিল সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াডের একদল কমান্ডো। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সন্দেহভাজনকে জীবিত ধরে ট্রেনে চালানো বিস্ফোরণের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তারা।

১২ ঘন্টা চেষ্টার পর তারা বাড়িটির ভিতরে প্রবেশ করতে সক্ষম হন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একটি ঘরের রক্তাক্ত মেঝেতে দুটি অস্ত্র পাওয়া গেছে।

যে স্থানে ট্রেনে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে পুলিশ সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করে। এদের মধ্যে উত্তর প্রদেশের কানপুর থেকে দুজনকে এবং ইটাওয়াহ থেকে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য তিনজন মধ্যপ্রদেশের পিপারিয়া থেকে গ্রেপ্তার হয় এবং আরো তিন সন্দেহভাজনকে খুঁজছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তারা আইএসের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।

আইএসের স্থানীয় সেল ট্রেন বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইন্টারনেটে পাওয়া লেখা পাঠের মাধ্যমে তারা উগ্রপন্থায় জড়িয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা দলজিৎ চৌধুরি।