মসুলের সরকারি কমপ্লেক্সের নিয়ন্ত্রণে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী

ইরাকের মসুল শহরের মূল সরকারি ভবনগুলো থেকে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের বিতাড়িত করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর অভিজাত ইউনিটগুলো।

>>রয়টার্স
Published : 7 March 2017, 10:06 AM
Updated : 7 March 2017, 10:06 AM

পাশাপাশি মঙ্গলবার মসুলের প্রধান মিউজিয়ামের নিয়ন্ত্রণও নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন ইরাকের র‌্যাপিড রেসপন্স ইউনিটের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দেল আমির আল মোহাম্মদাবি। 

তিনি জানান, সোমবার দিবাগত রাতে র‌্যাপিড রেসপন্স টিমের একটি বিশেষ বাহিনী নিনেভের গভর্নর ভবন ও সংলগ্ন সরকারি কমপ্লেক্সে চালানো ঘন্টাব্যাপী অভিযানে জঙ্গিদের হটিয়ে দেয়।

আইএসের আরবি নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তারা দায়েশের বহু যোদ্ধাকে হত্যা করেছে।”

সরকারি এইসব ভবন ধ্বংস করে দিয়েছে আইএস। এগুলো তারা ব্যবহারও করতো না। তারপরও এই কমপ্লেক্সটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার একটি তাৎপর্য আছে। এই কমপ্লেক্সটি দখল নেওয়ার মাধ্যমে মুসলের ওপর বাগদাদ সরকারের প্রতীকী কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হল।

পাশাপাশি এই কমপ্লেক্সটি থেকে নিকটবর্তী পুরনো শহরের কেন্দ্রস্থলে জঙ্গিদের ওপর আক্রমণ করার সুবিধাও পাবে সরকারি বাহিনী। 

১৭ অক্টোবর শুরু হওয়া মসুল অভিযান এখন ঘন বসতিপূর্ণ পুরনো শহরে পৌঁছে যাওয়ায় অভিযানটি সবচেয়ে জটিল পর্যায়ে প্রবেশ করেছে বলে ধারণা ইরাকি বাহিনীর। এই এলাকাটিতে বেসামরিক জনসাধারণের সঙ্গে কয়েক হাজার জঙ্গি আত্মগোপন করে আছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই পুরনো অংশের প্রধান মসজিদ আল নুরি থেকেই ২০১৪ সালে আইএসের নেতা আবু বকর আল বাগদাদি ‘খিলাফতের’ ঘোষণা দিয়েছিলেন। সিরিয়া ও ইরাকের বিশাল অংশ নিয়ে এই ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল আইএস। 

মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া তাইগ্রিস নদী মুসলকে পশ্চিম ও পূর্ব অংশে বিভক্ত করেছে। ১০০দিন লড়াইয়ের পর জানুয়ারিতে সরকারি বাহিনী পূর্ব মসূল পুনরুদ্ধার করে।

এর কিছুদিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম মসুল পুনরুদ্ধারে অভিযানে নামে তারা। এই অভিযান শুরুর সময় পশ্চিম মসুলে প্রায় সাত লাখ ৫০ হাজার মানুষ বসবাস করতেন বলে হিসাব করা হয়েছিল।