নতুন অভিবাসন আদেশ দিচ্ছেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসন নিয়ে সেমবারই নতুন নির্বাহী আদেশে সই করতে চলেছেন বলে জানিয়েছেন তার সহযোগী কেলিয়ানে কনওয়ে।

৭ মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের ওপর ট্রাম্পের আগের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ওপর আদালত স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর থেকেই নতুন করে সংশোধিত আরেকটি নির্বাহী আদেশ দেওয়ার কথা বলে আসছে হোয়াইট হাউস।

প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পরই এক নির্বাহী আদেশ জারি করে ইরাক, ইরান, ইয়েমেন, লিবিয়া,  সিরিয়া, সুদান ও সোমালিয়ার মতো সাতটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশের নাগরিক-সহ শরণার্থীদের ওপর সাময়িক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধ করেন ট্রাম্প।

নতুন আদেশে যা থাকছে:

নতুন নির্বাহী আদেশে আগের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তালিকা থেকে ইরাকের নাম বাদ যাবে বলে ফক্স নিউজকে জানিয়েছেন কনওয়ে। আর বাকী ছয়টি দেশই তালিকায় থাকবে।

কনওয়ে আরও জানান, নতুন আদেশে তালিকায় থাকা দেশগুলোর গ্রিন কার্ডধারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।

রয়টার্স জানিয়েছে, শরণার্থীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ১২০ দিনের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। তবে সিরিয়ার শরণার্থীদের ওপর আর অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা থাকবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্পের সহযোগী কনওয়ে।

কার্যকর হবে যখন থেকে:

নতুন নির্বাহী আদেশ ১৬ মার্চ থেকে কার্যকর হবে বলে কনওয়ে জানিয়েছেন।

আর ১০ দিন আগে থেকেই নতুন আদেশ জারির নোটিশ দেওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরগুলোতে ‍বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়ানোও সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

২৭ জানুয়ারিতে এরকম কোনও আগাম নোটিশ ছাড়াই ট্রাম্প প্রথম নির্বাহী আদেশ জারি করাতে বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। তখন ট্রাম্প নিজের সিদ্ধান্তের সাফাই গেয়ে বলেছিলেন, এক সপ্তাহের নোটিশে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হলে ওই সপ্তাহেই দেশে সব খারাপের দল হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ত।

যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাস ঠেকানোর যুক্তি দেখিয়ে নিষেধাজ্ঞার নির্বাহী আদেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু তার ওই নির্দেশের পরই খোদ যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্ব জুড়ে তীব্র আলোচনা সমালোচনা বিক্ষোভের ঝড় বয়ে যায়।

পরে সিয়াটল আদালত সেই নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ দিলে ফের শরণার্থী ও মুসলিম অভিবাসীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের দ্বার খুলে যায়। খারিজ হয়ে যায় ট্রাম্পের যুক্তিও। এরপরই ট্রাম্প নতুন করে আরেকটি নির্বাহী আদেশ জারি করবেন বলে জানান।