ট্রাম্পের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান এফবিআই প্রধানের

নির্বাচনের মাসখানেক আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার ফোনে আড়ি পেতেছিলেন বলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে অভিযোগ তুলেছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন এফবিআই প্রধান জেমস কোমি।

>>রয়টার্স
Published : 6 March 2017, 06:24 AM
Updated : 6 March 2017, 06:24 AM

শনিবার এক টুইটে ওই অভিযোগ তুলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লেখেন, “ভয়ানক! এইমাত্র জানতে পারলাম নির্বাচনে জয়লাভের মাত্র কিছুদিন আগে ওবামা ট্রাম্প টাওয়ারে আমার টেলিফোনে আড়ি পেতেছিলেন। কিছুই পাননি।

“কতটা নিচে নেমে প্রেসিডেন্ট ওবামা খুবই শুদ্ধ একটি নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে আমার ফোনে আড়িপাতার মত কাজ করলেন। এটা নিক্সন/ওয়াটারগেটে মত। খারাপ (অথবা অসুস্থ) মানুষ!”

ট্রাম্পের অভিযোগের পর এটি তদন্ত করে দেখতে রোববার কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

ওইদিনই নিউক ইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের কাছে ট্রাম্পের আড়িপাতার অভিযোগটি মিথ্যা এবং অবশ্যই সংশোধন করা দরকার বলে আর্জি জানান এফবিআইয়ের পরিচালক জেমস কোমি, কিন্তু বিচার বিভাগ তাৎক্ষণিকভাবে তার অনুরোধে সাড়া দেয়নি। 

প্রতিবেদনটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরাতে এসব কথা জানানো হয়। তাদের বরাতে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম জানিয়েছে, ট্রাম্পের অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই বলে কোমি বিশ্বাস করেন।

২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালে তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে ওবামা প্রশাসন ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিল কিনা তা তদন্ত করে দেখতে রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ কংগ্রেসের প্রতি আর্জি জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। ওই নির্বাচনকে রাশিয়া প্রভাবিত করেছিল কিনা, তা নিয়ে কংগ্রেসের চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে অভিযোগটিকে অন্তর্ভুক্ত করার আর্জি জানানো হয়েছে। 

“ওই সময়ে একজন প্রেসিডেন্টে প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্পের বা তার প্রচারণা শিবিরের বিরুদ্ধে আড়িপাতার মতো কোনো তৎপরতা চালানো হয়নি,” এনবিসি টেলিভিশনের ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে বলেছেন যু্ক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান জেমস ক্লাপার। জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ওবামার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ক্লাপার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের পদ ত্যাগ করেছিলেন।

ওবামার এক মুখপাত্র অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেছেন, হোয়াইট হাউসের কোনো কর্মকর্তা স্বাধীন বিচার বিভাগের কোনো তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।

রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য যোগাযোগ নিয়ে চলা বিতর্ক থেকে মনোযোগ সরাতে ট্রাম্প এসব অভিযোগ তুলেছেন বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে ডেমোক্রেটরা।