ত্রলের একটি আবাসিক ভবনে আশ্রয় নেওয়া ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ সঙ্গে শনিবার সন্ধ্যায় নিরাপত্তা বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়ে পরবর্তী ২৪ ঘন্টা ধরে অব্যাহত থাকে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
ব্যাপক গোলাগুলির এ ঘটনায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর তিন সদস্যও আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ‘বিচ্ছিন্নবাদীরা’ যে ভবনটিকে দেয়াল ঘেরা ব্যাঙ্কারের মতো করে ব্যবহার করছিল তা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, তারপরও রোববার সকাল পর্যন্ত কিছুক্ষণ পরপর গুলি করে যাচ্ছিল তারা।
শনিবার রাতে ওই এলাকা থেকে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। সারারাত দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়েছে।
ত্রলের শিকাগাহ এলাকার একটি বাড়িতে হিজবুল মুজাহিদিনের ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীরা’ লুকিয়ে আছে খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে অভিযানে নামে। তারা নির্দিষ্ট বাড়িটি ঘিরে ফেললে দুপক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।
এ সময় ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ গুলিতে পুলিশের সন্ত্রাস-বিরোধী ইউনিটের সদস্য মঞ্জুর আহমদ নিহত হন।
“লড়াইয়ে দুই সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। আমাদের পক্ষেও একজন নিহত হয়েছেন,” বলেছেন পুলিশের মহাপরিচালক এস. পি. ভাদি।
অভিযানের তত্ত্বাবধান করা পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকতা বলেছেন, “সম্মুখযুদ্ধে এক পুলিশ সদস্যকে হারিয়েছি আমরা। ব্যাপক অস্ত্রে সজ্জিত সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করতে বীরের মতো লড়েছে সে। অসাধারণ সাহসিকতা দেখিয়েছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে ব্যাপক বন্দুকযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর অভিযানে বিঘ্ন ঘটানোর জন্য গ্রামবাসী বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। ঘরে থাকার নির্দেশ অমান্য করে কয়েকশত গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে হাজির হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে পাথর ছুড়ে মারে তারা।
কিছু বিক্ষোভকারী সিআরপিএফের এক কর্মকর্তার কাছ থেকে একটি রাইফেলও ছিনিয়ে নেয় বলে দাবি করেছে পুলিশ। দক্ষিণ কাশ্মিরে তৎপর কয়েকজন শীর্ষ ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ নিরাপত্তা বাহিনীর ঘেরের মধ্যে আটকা পড়েছে বলেও দাবি করেছে তারা।