উত্তর কোরীয়দের ভিসা-মুক্ত প্রবেশে ইতি টানছে মালয়েশিয়া

নিরাপত্তাজনিত কারণে উত্তর কোরীয়দের ভিসা-মুক্ত প্রবেশে ইতি টানছে মালয়েশিয়া, জানিয়েছেন দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী আহমদ জাহিদ হামিদি।

>>রয়টার্স
Published : 2 March 2017, 06:43 AM
Updated : 2 March 2017, 06:59 AM

কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে উত্তর কোরিয়ার নেতা জিম জং উনের সৎভাই কিম জং ন্যামের হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নিল মালয়েশিয়া।

ন্যামের হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজন উত্তর কোরীয় নাগরিককে খুঁজছে মালয়েশিয়া। এদের মধ্যে কয়েকজন ভিসা-মুক্ত প্রবেশের সুযোগে মালয়েশিয়ায় এসে ন্যাম হত্যার পর দেশটি ছেড়ে পালিয়েছে। 

বিবিসি জানিয়েছে, উপপ্রধানমন্ত্রী জাহিদ বলেছেন, ৬ মার্চ থেকে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য সব উত্তর কোরীয়র জন্য ভিসা প্রযোজ্য হবে।

১৯৭০ সালে মালয়েশিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এরপর থেকে দুদেশের মধ্যে পামঅয়েল ও ইস্পাতসহ অন্যান্য পণ্যের বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়। ২০০৩ কুয়ালালামপুরে নিজেদের দূতাবাস খোলে উত্তর কোরিয়া। 

কিন্তু ন্যামের হত্যাকাণ্ড দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে ফাটল ধরিয়ে দিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের জেরে পিয়ংইয়ং থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। 

১৩ ফেব্রুয়ারি কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে অতি বিষাক্ত রাসায়নিক ভিক্স নার্ভ এজেন্ট ব্যবহার করে ন্যামকে হত্যা করে দুই নারী। বুধবার ওই দুই নারীর বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এদের মধ্যে ২৮ বছর বয়সী ডোয়ান থি হুওং ভিয়েতনামি এবং ২৫ বছর বয়সী এক সন্তানের জননী সিতি আইশাহ ইন্দোনেশীয়। হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ প্রমাণ হলে তাদের মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।

বিমানবন্দরে এরা দুজন ন্যামের মুখে ভিক্স নার্ভ এজেন্ট মেখে দিয়েছিলেন, এর ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যেই ন্যামের মৃত্যু হয়। 

মৃত্যুর পর থেকেই ন্যামের মৃতদেহ কুয়ালালামপুরের একটি মর্গে আছে, এই মৃতদেহ নিয়ে মালয়েশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।  

কেবল ডিএনএ স্যাম্পল মিলিয়ে আত্মীয়তা প্রমাণিত হলে ওই নিকটাত্মীয়দের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হবে জানিয়েছে মালয়েশিয়া। কিন্তু মালয়েশিয়া লাশের ময়নাতদন্ত করায় ক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে নিজেদের নাগরিকের মৃতদেহ ফেরত চেয়েছে উত্তর কোরিয়া।

ওই লাশটি ন্যামের কিনা তা এখনও নিশ্চিত করেনি উত্তর কোরিয়া। কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে নিহত ব্যক্তি একটি কূটনৈতিক পাসপোর্ট ব্যবহার করলেও পাসপোর্টে কিম জং ন্যাম নামটি ব্যবহার করেননি তিনি, অন্য একটি নাম ব্যবহার করেছিলেন।