‘আমেরিকার চেতনা পুনরুজ্জীবিত’ করার প্রতিশ্রুতি ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে দেওয়া প্রথম ভাষণে ‘আমেরিকার চেতনা পুনরুজ্জীবিত’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 March 2017, 06:56 AM
Updated : 1 March 2017, 11:28 AM

বিবিসি জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে দেওয়া এ ভাষণে ট্রাম্প বলেন, “আশাবাদের এক নতুন ঢেউ অসম্ভব সব স্বপ্নকেও দৃঢ়ভাবে আমাদের মুঠোবন্দি করতে শুরু করেছে।”

ভাষণে তিনি ইহুদিদের কবরস্থানগুলোতে সাম্প্রতিক ভাংচুরের ঘটনা এবং কানসাসে জাতিগত ঘৃণায় এক ভারতীয়কে গুলি করে হত্যার নিন্দা জানান।

ট্রাম্প বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দেশ যা ঘৃণা ও অনৈতিকতার নিন্দায় একতাবদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়।”

প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘটনাবহুল শুরুর পর তলানীতে নেমে যাওয়া জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনাই তার এ ভাষণটির লক্ষ্য ছিল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এক ঘন্টার এই ভাষণে তিনি ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ বাণিজ্য চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত ও যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দেওয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “অভিবাসন নীতির বাস্তব ও অনুকূল সংস্কার সম্ভব।”

এর কয়েক ঘন্টা আগে হোয়াইট হাউজে সংবাদ উপস্থাপকদের এক মধ্যাহ্নভোজে তিনি জানিয়েছিলেন, অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন তিনি। এই মন্তব্য তার অভিবাসন নীতি থেকে সরে আসার বড় ধরনের ইঙ্গিত।

কংগ্রেসের আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমাদের অভিবাসন আইনকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে আমরা মজুরি বাড়াতে পারবো, বেকারদের সাহায্য করতে পারবো, শত শত কোটি ডলার বাঁচাতে পারবো এবং আমাদের সমাজকে সবার জন্য নিরাপদ করে তুলতে পারবো।”

যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প; ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭। রয়টার্স

এই ভাষণ ছিল প্রেসিডেন্টের গতানুগতিক ভাষণ, গতানুগতিভাবেই তা সারা হয়েছে। অন্য কোনো বছর হলে এর প্রতি হয়তো তেমন মনোযোগই দেওয়া হতো না। কিন্তু ট্রাম্পের যুগে সাধারণ বিষয়গুলোই অবিশ্বাস্য হয় ওঠে, কিন্তু মঙ্গলবার রাতের ভাষণটি ছিল ব্যতিক্রম।

ভাষণের অনেকগুলো বিষয়ই আগের মতো একই ছিল, সেই নিরাপত্তা বাড়ানোর ডাক, অবৈধ অভিবাসীদের নিন্দা, আমেরিকানদের কাজ ও চাকরি দিয়ে আমেরিকাকে পুনর্গঠন করার প্রতিশ্রুতি, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের তাদের অংশের চাঁদা ঠিকভাবে দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করা ইত্যাদি।

তবে এই প্রথম এগুলো বলা হল স্বাভাবিকভাবে। একবার হলেও ভাষণে ডোনাল্ড ট্রাম্প কথা বললেন, কিন্তু চিৎকার করলেন না, জানিয়েছে বিবিসি।