ন্যাম হত্যা: উত্তর কোরিয়ার শাস্তি চায় দক্ষিণ কোরিয়া

রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করে কিম জং ন্যামকে হত্যার ঘটনায় উত্তর কোরিয়াকে শাস্তি দিতে আন্তর্জাতিকভাবে ‘সমন্বিত পদক্ষেপ’ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।

>>রয়টার্স
Published : 28 Feb 2017, 04:44 PM
Updated : 28 Feb 2017, 04:44 PM

জেনেভায় মঙ্গলবার জাতিসংঘ-সমর্থিত নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনে (সিডি) এক ভাষণে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ুন বায়ুং-সে বলেন, “রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার একটি অশনী সংকেত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার আসন স্থগিত করাসহ কিছু শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া।”

উত্তর কোরিয়া তাদের নেতা কিম জং-উনের সৎভাই কিম জং-ন্যামকে মালয়েশিয়া বিমানবন্দরে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে আসছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্বাস, পিয়ংইয়ং- ই ন্যামকে খুন করিয়েছে।

জেনেভা সম্মেলনে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ুন বলেন, অনেক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমই এ বিষয়টি তুলে ধরেছে যে, তৃতীয় একটি দেশে একজনকে টার্গেট করে হত্যা করতে উত্তর কোরিয়া রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এ থেকে বিশ্ববাসীর কাছে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, নৃশংস উত্তর কোরিয়া প্রশাসন যে কোনও জায়গাতেই যে কোনওসময় যে কাউকে আক্রমণ করতে ইচ্ছুক এবং প্রস্তুতও।”

সম্মেলনে উপস্থিত উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধি রয়টার্সকে বলেন, তিনি পরে ইয়ুনের কথার জবাব দেবেন।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরের টার্মিনালে ম্যাকাউগামী একটি ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করার সময় দুই নারী ন্যামের মুখে ‘ভিএক্স নার্ভ’ নামে একটি রাসায়নিক মাখিয়ে দেয়।

জাতিসংঘ গণবিধ্বংসী রাসায়নিক অস্ত্র হিসেবে ভিএক্স নার্ভ নিষিদ্ধ করেছে।

দুই নারী ভিয়েতনামের ডোয়ান থি হুওং এবং ইন্দোনেশিয়ার সিতি আইশাহ ছাড়াও আরও আট জনকে ন্যাম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে সনাক্ত করেছে মালয়েশীয় পুলিশ।

ওই আটজনের মধ্যে একজন কুয়ালালামপুরে অবস্থিত উত্তর কোরীয় দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, একজন রাষ্ট্র পরিচালিত এয়ারলাইনের কর্মী এবং অন্তত চারজন উত্তর কোরিয়ার গুপ্তচর।