ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, এসবের পেছনে ওবামাই রয়েছেন বলে তার বিশ্বাস।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে টাউন হল বৈঠকগুলোতে প্রতিবাদ- বিক্ষোভ ওবামা পরিচালনা করছেন কিনা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় এর পেছনে বারাক ওবামা আছেন। তার লোকজনই এসবের পেছনে আছে। এসব কেবলই রাজনীতি বলেও আমার মনে হয়।”
“পর্দার আড়ালে কি হচ্ছে আপনি জানেন না। এটি আপনি কখনওই জানেন না।”
ওবামাকেয়ার বাতিলসহ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের মত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে টাউন হল বৈঠকগুলোতে রিপাবলিকানরা প্রতিবাদ বিক্ষোভের সম্মুখীন হয়েছে। হোয়াইট হাউস এবং রিপাবলিকান পার্টি কিছু কিছু বিক্ষোভকারীকে ভাড়া করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে।
দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম মাসে গণমাধ্যমে প্রশাসনের ভেতরের তথ্য ফাঁসের জন্যও ওবামার সমর্থকদেরকে দোষারোপ করেছেন ট্রাম্প।
সরকারের ভেতরে ওবামার অনুগতরা ট্রাম্পের কর্মসূচিতে অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা চালানোর জন্য স্পর্শকাতর সব তথ্য ফাঁস করছে বলে হোয়াইট হাউস এর আগেও অভিযোগ করেছে।
ট্রাম্প বলেন, “আমি মনে করি এসবের পেছনে ওবামা আছেন। কারণ, তার লোকজনরা অবশ্যই এর পেছনে আছে। আর কিছু তথ্য তার দল থেকে ফাঁস হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটি খুবই বাজে একটি ব্যাপার। কিন্তু আমি এটাও বুঝি যে এটি কেবলই রাজনীতি এবং এটি সম্ভবত চলতে থাকবে।”
তবে ট্রাম্প তার এ বক্তব্যের পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করেননি। এছাড়া সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামাও এ নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি।
ট্রাম্প এমাসের শুরুর দিকে ফক্স নিউজকে বলেছিলেন, মেক্সিকো এবং অস্ট্রেলিয়ার নেতাদের সঙ্গে তার ফোনালাপের খবরটি ওবামার লোকজনদের ফাঁস করে দেওয়া তথ্য থেকেই হয়েছে।
প্রশাসনের তথ্য গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়ার বিরুদ্ধে দায়িত্ব নেওয়ার শুরু থেকেই লড়ে আসছেন ট্রাম্প। এতে করে জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
কংগ্রেসের উভয় কক্ষের এক যৌথ অধিবেশনে প্রথম ভাষণের আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ সাক্ষাৎকার প্রচার করে ফক্স নিউজ।
এ ভাষণে ট্রাম্প তার ব্যয়হ্রাস এবং অর্থনীতি সমৃদ্ধ করার পরিকল্পনা বিশদভাবে তুলে ধরবেন বলে মনে করা হচ্ছে।