ন্যাম হত্যা: ফেরারি চার উত্তর কোরীয় ‘গুপ্তচর’

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সৎভাই কিম জং ন্যাম হত্যায় জড়িত সন্দেহভাজন চার উত্তর কোরীয়কে গুপ্তচর বলে দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Feb 2017, 06:01 AM
Updated : 28 Feb 2017, 06:01 AM

মালয়েশীয় পুলিশ জানিয়েছে, কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ন্যামকে বিষাক্ত রাসায়নিক প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার ঘটনায় জড়িত উত্তর কোরীয় সাত সন্দেহভাজনের নাম প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়া।

বিবিসি জানিয়েছে, এদের মধ্যে চারজন উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট সদস্যদের জানিয়েছেন দক্ষিণের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

তবে ওই হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে যে উত্তর কোরীয়দের মালয়েশিয়া খুঁজছে তাদের মধ্যে কোন চারজনকে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দারা ‘গুপ্তচর’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তা পরিষ্কার নয়।

১৩ ফেব্রুয়ারি বিমানবন্দরে দুই নারী ন্যামের মুখে কাপড় জাতীয় কিছু একটা চেপে ধরার ১৫-২০ মিনিটের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। গ্রেপ্তারের পর ওই দুই নারী দাবি করেছেন, টেলিভিশনের কোনো কৌতুক অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন বলে ধারণা করেছিলেন তারা।

রোববার মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রাণঘাতী রাসায়নিক অস্ত্র ভিএক্স নার্ভ এজেন্ট ব্যবহার করে ন্যামকে হত্যা করা হয়েছে।  

এই হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিনের মধ্যেই রি জং চোল নামের এক উত্তর কোরীয়কে গ্রেপ্তার করে মালয়েশীয় পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহভাজন আরো ছয় উত্তর কোরীয়র নাম ঘোষণা করে তাদের খুঁজছে তারা।   

এই সন্দেহভাজনদের মধ্যে চারজন ন্যামকে হত্যার অল্প পরই কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর থেকে উড়োজাহাজে চেপে মালয়েশিয়ার বাইরে চলে যায়। চীনকে এড়িয়ে ঘোরানো-প্যাচানো একটি রুট ধরে তারা উত্তর কোরিয়া ফিরে যায়। 

অপর দুজনের মধ্যে একজন কুয়ালালামপুরের উত্তর কোরীয় দূতাবাসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অপরজন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন এয়ার কোরিওর কর্মী।

ন্যামের হত্যাকাণ্ডের পর ১৯ ফেব্রুয়ারি, এই হত্যাকাণ্ড ‘উত্তর কোরিয়ার কাজ’ বলে দাবি করে দক্ষিণ কোরিয়া, কিন্তু মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ এই হত্যাকাণ্ডের জন্য উত্তর কোরিয়াকে দায়ী করেনি।

অপরদিকে ন্যামের নাম উল্লেখ না করে তাদের এক নাগরিকের মৃত্যুর জন্য মালয়েশিয়াকে দায়ী করে লাশ ফেরত চেয়েছে উত্তর কোরিয়া।