বেঁচে যাওয়া ভারতীয় অলোকের বর্ণনায় কানসাসে গুলির ঘটনা

যুক্তরাষ্ট্রের কানসাসে একটি বারে সাবেক মার্কিন নৌসেনার গুলিতে আহত ভারতীয় অলোক মাদাসানি প্রথমবারের মত গণমাধ্যমে ওই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Feb 2017, 05:26 PM
Updated : 26 Feb 2017, 05:26 PM

২২ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় রাতে কানসাসের ওলাথে শহরের একটি বারে ৫১ বছর বয়সী অ্যাডাম পুরিনটনের গুলিতে শ্রীনিবাস কুচিবোতলার (৩২) নামে ভারতীয় এক প্রকৌশলী নিহত এবং আহত হন তার বন্ধু অলোক ।

বিবিসি’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অলোক বলেন, “ওই দিন আবহাওয়া খুব চমৎকার ছিল। সাধারণত সাতটায় কাজ শেষ করে আমরা বাড়ি চলে যাই।”

“ওই দিন শ্রীনিবাস আমাকে বিয়ার খাওয়ার প্রস্তাব দিল এবং আমরা একটি বারে গেলাম। সেখানে আমরা বিয়ার খেতে খেতে কাজ কেমন চলছে তা নিয়ে কথা বলা শুরু করলাম।”

“এ সময় এক ব্যক্তি আমাদের দিকে আঙ্গুল তুলে কিছু বলছিল। সে যেভাবে কথা বলছিল এবং যেভাবে আঙ্গুল তুলে আমাদের দেখাচ্ছিল তাতে আমরা বুঝতে পারি কিছু একটা ঝামেলা হতে যাচ্ছে।”

“ওই ব্যক্তি আমাদের দিকে এগিয়ে আসে এবং বলে, তোমরা কোন দেশ থেকে এসেছো। তোমরা কি এখানে অবৈধভাবে বসবাস করছ? সঙ্গে সঙ্গে আমি উঠে দাঁড়াই এবং বারের ব্যবস্থাপকের খোঁজে সোজা ভেতরে চলে যাই।”

“ব্যবস্থাপককে খুঁজে বের করে তাকে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আমি দেখলাম সেখানে থাকা অন্যান্য মার্কিনীরা ওই ব্যক্তিকে ঘিরে ধরে ভেতরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সম্ভবত তিনি যা করছিলেন সেটা করতে তাকে তারা বাধা দিচ্ছিল।”

“আমি শুনেছিলাম তারা বলছিল, তুমি যেভাবে ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছ তা তুমি করতে পার না।”

“এরপরই সে তার আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ফিরে আসে এবং আমি একটা শব্দ শুনতে পাই। এরপরই আমি মাটিতে পড়ে যাই। আমার গুলি লেগেছে বলে আমি সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকি। সবাই নির্বিকার ভাবে দেখছিল।”

“এরপর একজন আমাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে। আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।”

নিহত শ্রীনিবাসের বাড়ি ভারতের হায়দরাবাদে। ২০১৪ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে কাজ করছিলেন তিনি। তার স্ত্রী সুনয়না দুমালাও সেখানে একটি প্রযুক্তি কোম্পানিতে কাজ করেন।

ঘটনার পাঁচ ঘণ্টা পর পুলিশ মিজৌরির একটি স্থানীয় বার থেকে পুরিনটনকে গ্রেপ্তার করে।