১৫-২০ মিনিটেই মৃত্যু হয় কিম জং-ন্যামের

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সৎভাই কিম জং-ন্যাম কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে রাসায়নিক ভিএক্স এর ক্রিয়ায়  ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যেই মারা যান।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Feb 2017, 04:00 PM
Updated : 26 Feb 2017, 04:02 PM

তাকে খুবই উচ্চমাত্রায় এই রাসায়নিক এজেন্ট দেওয়া হয়েছিল। এতেই ব্যথায় এত দ্রুত তার মৃত্যু ঘটে। ন্যামের দেহের ময়নাতদন্ত থেকে এমনটিই ধারণা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম সত্যশিব ।

তিনি জানান, ন্যামের মুখে ওই পদার্থ ঘষে দেওয়ার প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যেই তার মৃত্যু ঘটে। তার শেষ মুহূর্তগুলো খুবই ‘যন্ত্রণাদায়ক’ ছিল। ক্লিনিকে তিনি অচেতন হয়ে গিয়েছিলেন এবং হাসপাতালে নেওয়ার সময় অ্যাম্বুলেন্স থেকে তাকে বের করার সময়ই তিনি মারা গিয়েছিলেন।

কোনও প্রতিষেধক দিয়েই এত উচ্চমাত্রার বিষক্রিয়া প্রতিহত করা যেত না বলেও জানান তিনি।

মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ বলেছে, এরপর  লাশের পরিচয় নিশ্চিত হতে তাদের একটি ডিএনএ নমুনা দরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যশিব বলেন, “আমরা একবার মৃত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হতে পারলেই আমাদের কাজ শেষ হবে।”

ন্যামকে ১০ মিলিগ্রামের বেশি জাতিসংঘের নিষিদ্ধ ঘোষিত গণবিধ্বংসী রাসায়নিক অস্ত্র ‘ভিএক্স নার্ভ এজেন্ট’ দেওয়া হয়েছিল বলে বিশ্বাস সত্যাশিবের।

 ১৩ ফেব্রুয়ারি কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর মারা যান উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সৎভাই ন্যাম।

পরে মালয়েশিয় কর্তৃপক্ষ জানায়, তাকে বিষপ্রয়োগ করে হত্যা করা হয়েছে।

রোববার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “ন্যামকে এতো উচ্চ মাত্রায় ভিএক্স এজেন্ট দেওয়া হয়েছিল যে, তার শরীরের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গে তার প্রভাব পড়ে।”

“রাসায়নিকটি অতি দ্রুত সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এটা তার হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসসহ সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অকেজো করে দেয়।”

এই হত্যার ঘটনায় কূটনীতিকসহ আট উত্তর কোরীয় নাগরিককে খুঁজছে মালয়েশীয় তদন্তকারীরা। এদের মধ্যে একজনকে আটক করেছে মালয়েশীয় পুলিশ, অপর চারজন উত্তর কোরিয়ার পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে অপর দু’জন এখনও মালয়েশিয়ায় পালিয়ে আছেন।

এছাড়া, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার দুই নারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারাই বিমানবন্দরে ন্যামকে ‘ভিএক্স নার্ভ এজেন্ট’ প্রয়োগ করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, তাদের মধ্যে একজন ভিএক্স-র প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং সমানে বমি করছেন।

গ্রেপ্তার ভিয়েতনামি নারী ডোয়ান থি হুওং এবং ইন্দোনেশীয় নারী সিতি আইশাহর দাবি তারা ‘তামাশাপূর্ণ কোনো দৃশ্যে’ অংশ নিচ্ছেন ভেবে না জেনেই এ কাজ করেছেন। ‘চাতুর্যের সঙ্গে’ কেউ তাদের ন্যাম হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করেছে।