‘১৯৭০ দশকের পর যুক্তরাজ্যে সন্ত্রাসের হুমকি সর্বোচ্চে’

১৯৭০ এর দশকে আইআরএ’র বোমা হামলার হুমকির পর এখন যুক্তরাজ্যে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলার হুমকি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির নতুন সন্ত্রাসী আইন পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান ম্যাক্স হিল।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Feb 2017, 02:07 PM
Updated : 26 Feb 2017, 02:07 PM

সন্ত্রাস বিষয়ক আইন পর্যবেক্ষণকারী আইনজীবী হিল দ্য সানডে টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আইরিশ রিপাবলিকান আর্মি (আইআরএ) যেমন মূল ভূখন্ডে বোমা হামলা চালিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছিল আইএস’ও ঠিক তাদের মতোই একটা বড় হুমকি হয়ে বিরাজ করছে।”

যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন নগরীতে ইসলামপন্থি জঙ্গিরা হামলার পরিকল্পনা করছে বলে জানান তিনি।

রোববার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ পায়। সেখানে সন্ত্রাসী হামলার হুমকি মোকাবেলায় গোয়েন্দা সংস্থার সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেছেন ম্যাক্স হিল।

তিনি বলেন, “ইসলামিক স্টেট (আইএস) যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে নিরপরাধ সাধারণ মানুষদের উপর, তারা যে জাতি বা বর্ণেরই হোক নির্বিচারে হামলার পরিকল্পনা করছে।”

আইএসর নৃশংসতা আইআরএ-র প্রাথমিক পর্যায়ের নৃশংসতার সমতুল্য হবে বলেও ধারণা প্রকাশ করেন তিনি।

সত্তরের দশকে উত্তর আয়ারল্যান্ডের আইরিশ রিপাকলিকান আর্মি (আইআরএ) যুক্তরাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ইউনাইটেড আয়ারল্যান্ড গঠনে স্বশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করেছিল।

তবে প্রায় অর্ধশতাব্দী আগের আইআরএ এবং বর্তমান আইএস এর ‘মানসিকতায়’ পার্থক্য রয়েছে বলে মন্তব্য করেন হিল।

তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, যে ঘন ঘন মারাত্মক ধরনের হামলা পরিকল্পনা অহরহই হচ্ছে তাতে আমাদের সামনে একটা মস্তবড় ঝুঁকি বিরাজ করছে। আমাদের কারও পক্ষে তা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব না।”

“১৯৭০ সালে আইআরএ যখন আমাদের মূলভূমিতে সক্রিয় ছিল তখন লন্ডনের উপর যে মাত্রায় হামলার হুমকি ছিল বর্তমান হুমকি নিঃসন্দেহে অন্তত সেই পর্যায়ের বলেই আমার বিশ্বাস।”

তিনি আইএস এ যোগ দেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের ইরাক ও সিরিয়া যাওয়ার সংখ্যার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “সংখ্যাটি এত বেশি যে তা মারাত্মক উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর অর্থ যুক্তরাজ্যের নাগরিক যারা আইএসের হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়েছিল তাদের অন্তত শতাধিকজন দেশে ফিরে এসেছে বা আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে, এটি আমরা সবাই জানি।”

যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বের রুড রোববার স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, তার কাছে যুক্তরাজ্যের সুরক্ষা ‘সবার আগে’।

যুক্তরাজ্যে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির বিষয়ে হিলের মূল্যায়নের সঙ্গে একমত পোষণ করে তিনি আরও বলেন, একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসেবে খুব ভালোভাবে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেন।