যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন নিহত ভারতীয়র স্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের কানসাসের এক বারে গুলিতে নিহত ভারতীয় প্রকৌশলী শ্রীনিবাস কুচিবোতলার  স্ত্রী সুনয়না দুমালা ঘটনার কিছুদিন আগে থেকেই নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন। স্বামীর কাছে এ আশঙ্কা প্রকাশও করেছিলেন তিনি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Feb 2017, 02:10 PM
Updated : 25 Feb 2017, 02:21 PM

যুক্তরাষ্ট্রে কানসাসের এক বারে গুলিতে নিহত ভারতীয় প্রকৌশলী শ্রীনিবাস কুচিবোতলার  স্ত্রী সুনয়না দুমালা ঘটনার কিছুদিন আগে থেকেই নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন। স্বামীর কাছে এ আশঙ্কা প্রকাশও করেছিলেন তিনি।

কিন্তু তাকে অভয় দিয়ে স্বামী বলেছিলেন, ‘‘সমস্ত ভাল কিছু আমেরিকাতেই হয়।”

অথচ ঘটেছে ঠিক উল্টো। সুনয়নার আশঙ্কাকে সত্যি করে এক বর্ণবিদ্বেষীর গুলিতে মৃত্যু হয় স্বামী শ্রীনিবাসের।

এনডিটিভি জানায়, শুক্রবার স্বামীর কোম্পানির পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তার এ আশঙ্কার কথাই বলেছেন সুনয়না।  প্রশ্ন করেছেন, আদৌ এ বর্ণবিদ্বেষ বন্ধ করতে উদ্যোগী হবে কিনা মার্কিন সরকার। দেশটি তাদের জন্য নিরাপদ কিনা।

যুক্তরাষ্ট্রে পক্ষপাতদুষ্টতার খবরে সেখানকার সংখ্যালঘুরা ভয়ে আছে বলে সাংবাদিকদের জানান সুনয়না। সংখ্যালঘুদের আদৌ আমেরিকার নাগরিক মনে করা হচ্ছে কিনা সে প্রশ্ন রাখেন তিনি।

সুনয়না আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা প্রায় রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংবাদ মাধ্যম থেকে সেসব খবর জানতে পেরে সব সময়েই ভয়ে থাকতেন। তার ওপর ট্রাম্পের আমলে অবৈধ অভিবাসী এবং মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ তার আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল।

অবৈধ অভিবাসী বা মুসলিম, এই দুইয়ের কোনোটাই না হলেও যুক্তরাষ্ট্র তার কাছে অনিরাপদ মনে হচ্ছিল। সেকারণে স্বামীর সঙ্গে আমেরিকা ছেড়ে চলে যাওয়ার কথাও ভেবেছিলেন বলে জানান সুনয়না।

কিন্তু শ্রীনিবাস আমেরিকা ছেড়ে যাওয়ার কথায় পাত্তাই দেননি। উপরন্তু বলেছিলেন সব ভাল কিছু সেখানেই হয়।

এখন স্বামীর মৃত্যুর পর তার ইচ্ছা পূরণের জন্য ফের কানসাসেই ফিরতে চান সুনয়না। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তিনি সরকারের কাছ থেকে জবাব চেয়ে বলেছেন, সরকার ‘হেইট ক্রাইম’ বন্ধে কি করবে তা তিনি জানতে চান।

গত বুধবার রাতে বন্ধু অলকের সঙ্গে কানসাসের ওলেথের এক বারে  যান শ্রীনিবাস। সে সময়ই অ্যাডাম পিউরিটন নামে মার্কিন নৌসেনার সাবেক কর্মী ওই দুই ভারতীয়কে এশীয় মুসলিম বলে সন্দেহ করে বিবাদ শুরু করে। এরপরই ‘এদেশ থেকে বেরিয়ে যাও’ বলে তার চালানো গুলিতে আহত শ্রীনিবাস পরে হাসপাতালে মারা যান।

অ্যাডামের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই হত্যার আসল উদ্দেশ্য তদন্ত করে দেখছে।