এ সপ্তাহের শুরু দিকে প্রিটোরিয়া ও জোহানেসবার্গের কিছু এলাকায় নাইজেরিয়ার নাগরিকদের উপর হামলা এবং সোমালিয়, পাকিস্তানি ও অন্যান্য অভিবাসী মালিকানাধীন দোকানে লুটপাট চালানো হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ রেকর্ডের প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিবাসীরা তাদের কাজের ক্ষেত্র কেড়ে নিচ্ছে। সেই সঙ্গে তাদের কারণে দেশটিতে অপরাধ কর্মকাণ্ডও বেড়ে গেছে।
এর জের ধরে শুক্রবার রাজধানীতে অভিবাসন বিরোধীদের একটি দল এবং অভিবাসীদের একটি দল মুখোমুখি অবস্থান নেয়।
স্বশস্ত্র পুলিশ মাঝখানে অবস্থান নিলেও উভয় পক্ষ পরষ্পরবিরোধী স্লোগান দেয় এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।
এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে বাধ্য হয়।
মারাবাসতাদে লুটপাটের প্রতিবাদে অভিবাসীরা সড়কে জড় হওয়ায় অনেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ক্ষুব্ধ অভিবাসীরা জানায়, তারা তাদের সম্পদ রক্ষায় প্রস্তুত আছে।
সোমালিয় এক দোকান মালিক রয়টার্সকে বলেন, “আমি আমার জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছি। আমার দোকানে এক বছরে কয়েকবার লুটপাট হয়েছে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিবাসী মালিকানাধীন দোকানগুলো যৌনকর্মী ও মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৩৪ বছর বয়সী স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, তিনি একটি উৎপাদন কারখানায় কাজ করতেন। কিন্তু জিম্বাবুয়ের এক নাগরিক তার তুলনায় কম মজুরিতে ওই কাজ করতে রাজি হওয়ার তিনি চাকরি হারান।
দেশটির জাতীয় পুলিশ কমিশনার খোমোতসো ফাহলান বলেন, ক্রমাগত হানাহানি, লুটপাট ও সম্পত্তি বিনষ্ট করা হচ্ছে।
“গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৬ জনকে আটক করা হয়েছে। নৃশংসতায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।”
স্থানীয় এবং অভিবাসীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের নিন্দা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা।
শুক্রবার জুমার কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে নাগরিকদের প্রতি সব অপরাধ কর্মকাণ্ডের জন্য অভিবাসীদের দায়ী না করার অনুরোধ করা হয়েছে।