ন্যাম হত্যাকাণ্ডে ইন্টারপোলের সহায়তা চায় মালয়েশিয়া

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সৎভাই কিম জং-ন্যাম খুনে জড়িত সন্দেহে চার উত্তর কোরীয়কে ধরার জন্য এলার্ট জারি করতে আন্তর্জাতিক পুলিশ ইন্টারপোলের সহযোগিতা চেয়েছে মালয়েশিয়া।

>>রয়টার্স
Published : 23 Feb 2017, 12:03 PM
Updated : 23 Feb 2017, 12:03 PM

বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার পুলিশপ্রধান খালিদ আবু বকর  একথা জানিয়েছেন।

কুয়ালালামপুরের বিমানবন্দরে ১৩ ফেব্রুয়ারি নিহত হন ন্যাম। উত্তর কোরিয়ার চরেরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে ধারণা দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের।

সাংবাদিকদের খালিদ আবু বকর বলেন, ওই ঘটনার পর গত সপ্তাহে বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার পাসপোর্টধারী যে দুই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয় তাদেরকে দ্রুত কাজ করে এমন বিষ প্রয়োগ করে ন্যামকে মারার জন্য অর্থ দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু ওই দুই নারী কোনও বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ করেছে কি না সে ব্যাপারে আবু বকর কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান।

পুলিশ খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে উত্তর কোরিয়ার এক ব্যক্তিকেও আটক করেছে। এছাড়া, আরও সাতজনকে খুঁজছে পুলিশ।

এদের মধ্যে একজন  কুয়ালালামপুরের উত্তর কোরিয়া দূতাবাসের দ্বিতীয় সেক্রেটারি হায়ন কোয়াং সঙ, আরেকজন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ব বিমান সংস্থা এয়ার কিরোয়োর কর্মচারী কিম উক দ্বিতীয়। ন্যাম হত্যায় যে তিন উত্তর কোরীয়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খোঁজা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছেন এ দু’জন। তারা মালয়েশিয়াতেই আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাকী চার সন্দেহভাজন ইতোমধ্যেই উত্তর কোরিয়ায় ফিরে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদেরকে পাকড়াও করতেই ইন্টারপোলকে সতর্কতা জারির অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানান মালয়েশিয়ার পুলিশ প্রধান বকর।

তিনি জানান, এরই মধ্যে মালয়েশিয়ার উত্তর কোরিয়া দূতাবাসের দ্বিতীয় সেক্রেটারি ও বিমান সংস্থার কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুরোধ জানিয়ে দূতাবাসকে  চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বকর বলেন, “আপনাদের লুকানোর কিছু না থাকলে সহযোগিতা করতে ভয় পাওয়া ঠিক হবে না। আপনাদের উচিত সহযোগিতা করা।”

 তিনি আরও বলেন, দূতাবাসের ওই কর্মকর্তার কূটনৈতিক অব্যাহতি থাকার কারণে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হবে না। তবে বিমানসংস্থার কর্মী সামনে না এলে আইনি প্রক্রিয়া বলবৎ হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুরের উত্তর কোরিয়া দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুরোধ সম্বলিত কোনও চিঠি পাননি বলে জানান। আর দূতাবাস এরকম কোনও চিঠি পেলে সহযোগিতা করবে কিনা এমন প্রশ্নেরও কোনও জবাব দেননি তিনি।