মঙ্গলবার অভিবাসন বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোমল্যান্ড সিকিউরিটিকে নতুন দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।
ওই নির্দেশনায় অভিবাসী মর্যাদা নেই এমন ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের পরপরই দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে বলা হয়েছে।
মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইস ভিদেগারাই বলেন, তার দেশ ‘এক সরকারের উপর অন্য সরকারের একতরফা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া’ মেনে নেবে না।
হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়, অভিবাসন নিয়ে নতুন ওই নীতির বাস্তবায়নে ‘একসঙ্গে কাজ করার’ বিষয়ে আলাচনার জন্য বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি প্রধান জন কেলি মেক্সিকো পৌঁছেছেন।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েতোর সঙ্গে তাদের বৃহস্পতিবার বৈঠক করার কথা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট’ অনুযায়ী দেশটির কর্তৃপক্ষ কাগজপত্রবিহীন অভিবাসীদের মেক্সিকোতে ফেরত পাঠাতে পারবে, তা সে যেখান থেকেই আসুক।
টিলারসন ও কেলি মেক্সিকোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই অ্যাক্ট বাস্তবায়নের বিষয়েও আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
এ বিষয়ে বুধবার ভিদেগারি বলেন, “আমরা ওটা মানছি না। কারণ আমাদের ওটার প্রয়োজন নেই এবং মেক্সিকোর এ বিষয়ে কোনো আগ্রহ নেই।”
ট্রাম্প প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসী রয়েছে, যাদের অধিকাংশই মেক্সিকো থেকে আসা।
তাদের বিতাড়ন প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।তৃতীয়বার বিতাড়িত হওয়ার সময় মেক্সিকোর এক ব্যক্তি মঙ্গলবার সীমান্তের কাছে একটি সেতু থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন।
মেক্সিকোর নাগরিকদের সঙ্গে এ ধরণের ব্যবহারে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে ভিদেগারি বলেন, “আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বিদেশে অবস্থান করা মেক্সিকোর নাগরিকদের মানবাধিকার, স্বাধীনতা ও যথাযথ প্রক্রিয়ার সুবিধা পাওয়ার অধিকার সুরক্ষায় মেক্সিকো সরকার যেকোন আন্তর্জাতিক সংগঠনের শরণাপন্ন হতে দুইবার চিন্তা করবে না। শুরু করবে জাতিসংঘ দিয়ে।”
নতুন নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের পাশাপাশি নতুন করে আরও ১০ হাজার এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
নতুন নির্দেশনায় ত্বরিত বিতাড়নের ক্ষেত্রে কাগজপত্রবিহীন ওইসব অভিবাসী যারা দুই বছরের বেশি সময় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করার প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হবে তাদের দেশের যেকোনো স্থান থেকে আটক করে নিজ দেখে ফেরত পাঠানো হবে।
এর আগে দুই সপ্তাহের কম সময় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা এবং সীমান্তের ১০০ মাইলের মধ্যে ধরা পড়া ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ত্বরিত বিতাড়ন কার্যকর ছিল।