ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন এবং ওয়ার্ল্ড হেল্থ অরগানাইজেশনের পক্ষ থেকে শিল্পন্নোত ৩৫টি দেশের নাগরিকদের জীবনকাল নিয়ে গবেষণা করা হয়।
গবেষণার ফলে বলা হয়, ২০৩০ সাল নাগাদ সব দেশের নাগরিকদেরই গড় আয়ু বাড়বে এবং বেশিরভাগ দেশে পুরুষ ও নারীদের গড় আয়ুর মধ্যে ব্যবধান কমতে শুরু করবে। আর এ সময়ের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার নারীদের গড় আয়ু হবে ৯০ বছরের বেশি।
গড় আয়ু বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধদের দেখাশোনা এবং পেনশনের ব্যবস্থা করাও বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলেও অভিমত গবেষকদের।
গবেষকদের একজন অধ্যাপক মাজিদ এজ্জাতি বিবিসি’কে বলেন, “দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন অনেক কিছুই ঠিকঠাক মত হয়। এদেশের নাগরিকরা দরকারি অনেক কিছুই পাচ্ছেন। তারা উপযুক্ত জায়গায় বাস করছেন এবং শিক্ষা ও পুষ্টির মত সুবিধাগুলো পাচ্ছেন।”
দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলেও মনে করেন তিনি।
এজ্জাতি বলেন, “দেশটির জনগণ উচ্চরক্তচাপের মত রোগকে খুব ভালভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে। সেইসঙ্গে বিশ্বের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় স্থুলতার হার সবচেয়ে কম।”
এক সময় গড় আয়ুর দিক দিয়ে উপরের সারিতে থাকা জাপানের জনগণের ভবিষ্যতে এক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন গবেষকরা।
বর্তমানে বিশ্বের মধ্যে নারীদের গড় আয়ুর ক্ষেত্রে সবার উপরে আছে জাপান। কিন্তু ভবিষ্যতে দক্ষিণ কোরিয়া ও ফ্রান্সের নারীরা তাদের ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করেন গবেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের গড় আয়ুর ক্ষেত্রে গবেষকরা বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ ধনী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের গড়আয়ু সবচেয়ে কম হবে।
সেখানে পুরুষদের গড় আয়ু ৮০ বছর এবং নারীদের গড় আয়ু ৮৩ বছর হবে বলে গবেষণাপত্রে অনুমান করা হয়েছে।
এজ্জাতি বলেন, “তাদের অবস্থা দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় বিপরীত।”