‘দুর্নীতিকে আমলে না নিলে আইএস পরাজিত হবে না’

ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) টিকিয়ে রেখেছে দুর্নীতিগ্রস্ত পরিবেশ। আর তাই দুর্নীতির বিষয়টিকে আমলে নিয়ে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার না হওয়া পর্যন্ত এ জঙ্গি গোষ্ঠীটিকে পরাজিত করা যাবে না বলে দাবি করা হয়েছে নতুন একটি প্রতিবেদনে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Feb 2017, 03:41 PM
Updated : 21 Feb 2017, 03:41 PM

দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে আসা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের এ প্রতিবেদনে সন্ত্রাস, বিশেষ করে, মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসের প্রধান চালিকাশক্তি হিসাবে দুর্নীতির বিষয়টিকে অবহেলা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোর সরকারকে দোষারোপ করা হয়েছে।

ইরাকের মসুলে আইএসের ঘাঁটিগুলোতে ইরাকি বাহিনীর লড়াইয়ে অগ্রগতির খবরের মধ্যে এ প্রতিবেদন প্রকাশ পেল। বিগ স্পিন শীর্ষক এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএস দুর্নীতির সুযোগ নিয়েই মৌলবাদের বিস্তার ঘটায় এবং দলে মানুষ ভেড়ায়।

দুর্নীতির সহায়তাতেই আইএস টিকে আছে বলে সতর্ক করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিচালক ক্যাথরিন ডিক্সন। এ বিষয়টি উপলব্ধি করতে না পারলে সহিংস উগ্রবাদ দমনের চেষ্টা ব্যাহত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ডিক্সন আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জঙ্গি গোষ্ঠীটির ধর্মীয় আদর্শের দিকটি নজরে রেখে তাদেরকে ঠেকানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালালেও যে আবহে তারা টিকে আছে সেই দুর্নীতির দিকটি উপেক্ষিত হচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আইএস সমাজে স্বজনপ্রীতি, ঘুষের মত ধারাবাহিক দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থার দিকটিতে আলোকপাত করে এর বিপরীতে নিজেদেরকে নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার এবং কল্যাণকামী সংগঠন হিসাবে উপস্থাপন করছে।

সুন্নি গ্রুপগুলোর বৈষম্যবোধকে কাজে লাগিয়ে এবং পশ্চিমা ও এর মিত্রদেশগুলো দুর্নীতিতে সামিল আছে বলে প্রচার করার মধ্য দিয়েও আইএস মানুষকে দলে টানছে।

দুর্নীতির কারণে আইএস এর বিরুদ্ধে লড়াইরত ইরাকি সেনাবাহিনীর মত কিছু কিছু বাহিনীও দুর্বল হয়ে পড়েছে। লড়ার জন্য পর্যাপ্ত যোদ্ধা তাদের নেই। অনেক মানুষকে অর্থ দেওয়া হলেও তারা মূলত কাজ করছে না।

ডিক্সন বলেন, এর মানে হচ্ছে উচ্চ পর্যায়ে দুর্নীতির বিষয়টি তুলে না ধরা গেলে আইএস কে পরাজিত করা যাবে না।