শুক্রবার মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের ৫৩তম আসরে পেন্স বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র আজ এবং প্রতিদিন ইউরোপের পাশে থাকবে।”
“আজ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতিনিধি হিসেবে আমি আপনাদের এই নিশ্চয়তা দিচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্র নেটোকে দৃঢ় সমর্থন জানাবে এবং এই জোটের প্রতি দেওয়া আমাদের প্রতিশ্রুতিতে অটল থাকবে।”
তবে নেটোর প্রতিরক্ষা তহবিলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ভূক্ত দেশগুলো তাদের ‘ন্যায্য অংশ পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
“এই ব্যর্থতা আমাদের জোটের ভিতকে নষ্ট করে দিয়েছে।”
২০১৪ সালে নেটো ভূক্ত দেশগুলো নিজেদের মোট জিডিপির ২ শতাংশ জোটের প্রতিরক্ষা তহবিলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া ইউরোপের মাত্র চারটি দেশ ওই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে।
সেদিকে ইঙ্গিত করে পেন্স বলেন, “আরও বেশি কিছু করার সময় এসেছে।”
নেটোর ২০১৬ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, গ্রিস, পোল্যান্ড ও এস্তোনিয়া জিডিপির ২ শতাংশ জোটের প্রতিরক্ষা তহবিলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পেরেছে।
এমনকি জার্মানি এখনও তাদের প্রতিশ্রুত অর্থ দেয়নি।
২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের অভিষেকের পর বৈদেশিক নীতি বিষয়ে এটাই ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম বড় পদক্ষেপ।
গত বছর নভেম্বরে নির্বাচনে জয়লাভ করার পরই নেটোকে সেকেলে বলে মন্তব্য করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জোটের অন্যান্য সদস্য দেশগুলোর অবদান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।