বৃহস্পতিবার বিকালে চেন্নাইয়ের রাজভবনে রাজ্যপাল সি বিদ্যাসাগর রাও তাকে শপথবাক্য পাঠ করান। তার সঙ্গে শপথ নিয়েছেন আরও ৩০ জন মন্ত্রী।
পালানিসামিকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন তামিলনাডুর ক্ষমতাসীন দলনেত্রী ভিকে শশিকলা। ফলে পালানিসামি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় জেলে বসেও জয় হল শশিকলারই।
দুর্নীতির দায়ে সুপ্রিম কোর্টের দণ্ড নিয়ে বুধবার থেকে চার বছরের কারাবাসের মেয়াদ শুরু করেছেন শশিকলা, যিনি তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। কারাবাসে যাওয়ার আগেই পালানিসামিকে মনোনীত করে যান তিনি।
এরপর পালানিসামি বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্যপাল সি বিদ্যাসাগর রাওয়ের সঙ্গে দেখা করে তার পক্ষে বেশিরভাগ বিধায়কের সমর্থন থাকার দাবি করেন। কিন্তু রাজ্যপাল ১৫ দিনের মধ্যে পালানিসামিকে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার শর্তে তাকে মুখ্যমন্ত্রী করতে রাজি হন।
ওদিকে, রাজ্যপালের কাছে বিধায়কদের যে সমর্থনপত্র পালানিসামি দিয়েছেন তাতে বেশিরভাগ বিধায়কের নাম থাকায় আস্থা ভোটে জয়ী হওয়ার বিষয়ে আস্থা প্রকাশ করেছেন তামিলনাড়ুর নতুন এ মুখ্যমন্ত্রী।
তবে পালানিসামি এর আগে কখনও নির্বাচিত হয়ে সরকারি দায়িত্ব পালন করেননি। এ কারণে, তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেও সরকার টেকাতে পারবেন কি না তা নিয়ে সংশয় আছে।
তাছাড়া, পালানিসামি মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকলেও সরকারের নিয়ন্ত্রণ যে কারাবন্দি শশিকলার হাতেই থাকছে সে ব্যাপারে তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক মহল একরকম নিশ্চিত।
অন্যদিকে, পন্নিরসেলভম (জয়ললিতা মারা যাওয়ার পর যিনি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন) শিবির মনে করছে, আস্থা ভোটে জয় পাওয়া পালানিসামির জন্য সহজ হবে না। ফলে আগামী ১৫ দিনে রাজনীতিতে আরও অনেক নাটকীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।