কাশ্মিরে গোলাগুলিতে ভারতীয় মেজরসহ নিহত ৪

কাশ্মিরের উত্তরাঞ্চলীয় হ্যান্ডওয়ারা শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে তিন সন্দেহভাজন বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2017, 05:11 AM
Updated : 15 Feb 2017, 05:24 AM

মঙ্গলবারের এ ঘটনায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর আহত এক মেজর কয়েক ঘন্টা পর মারা গেছেন, জানিয়েছে এনডিটিভি।

ওই এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অবস্থান করছে গোয়েন্দা সূত্রে এমন খবর পায় পুলিশ। এ খবরের ভিত্তিতে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী ওই এলাকাটি ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। এরই এক পর্যায়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ব্যাপক গুলিবর্ষণ শুরু করে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।

এ সময় সেনাবাহিনীর ওই কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। হেলিকপ্টারে করে তাকে শ্রীনগরের সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

এদিকে দুপক্ষের তুমুল লড়াইয়ে তিন বিচ্ছিন্নতাবাদী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। তাদের অবস্থান থেকে একে-৪৭ রাইফেলসহ অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

১২ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বিতীয় গোলাগুলির ঘটনা এটি।

এর আগে একই দিন সকালে নিকটবর্তী বান্দিপোড়া জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হন। লড়াই ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিন সৈন্যও নিহত হন।

এখানে আহত ১৫ জন নিরাপত্তা সদস্যকে হেলিকপ্টারে করে শ্রীনগরের সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদের কারো কারো অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানানো হয়েছে।  

প্রায় ২৫ বছর ধরে কাশ্মিরের উত্তরাঞ্চলজুড়ে চলা বিদ্রোহ দমন করার চেষ্টা করছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। গত বছর ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে কাশ্মিরের জনপ্রিয় বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা বুরহান ওয়ানি নিহত হওয়ার পর উপত্যকাটিজুড়ে প্রবল ভারত বিরোধী প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে।

তারপর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর বিদ্রোহীদের হামলার মাত্রাও বেড়ে গেছে। বিপরীতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনেও একের পর এক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় বাহিনী।

রোববার এ ধরনের অপর একটি অভিযান চলাকালে দুপক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে চার সন্দেহভাজন বিচ্ছিন্নতাবাদী, দুই ভারতীয় সেনা ও বেসামরিকসহ সাতজন নিহত হন।        

এই পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার কাশ্মিরের সাম্ভা এলাকার রামগড় সেক্টরের সীমান্তে ২০ মিটার দীর্ঘ এক সুড়ঙ্গের খোঁজ পেয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিএসএফ।   বিএসএফের প্রশিক্ষণের সময় অসমাপ্ত ওই সুড়ঙ্গের সন্ধান মেলে।

পাকিস্তান থেকে শুরু হওয়া ওই সুড়ঙ্গ ব্যবহার করে ‘সন্ত্রাসীরা’ভারতে ঢোকার পরিকল্পনা করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।