প্লেবয়-এর নতুন চিফ ক্রিয়েটিভ অফিসার ক্যুপার হেফনার মনে করেন, তাদের পুরনো নীতি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না।
এক টুইটে তিনি বলেন, “আজ আমরা আমাদের পুরনো পরিচয়ে ফিরে যাচ্ছি এবং নিজেদের চেনাতে চাই।”
যুক্তরাষ্ট্রের এই সাময়িকী মার্চ-এপ্রিল সংস্করণে নিজেদের পছন্দনীয় মডেলের ছবি ছেপে সঙ্গে হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে লিখেছে- ‘ন্যাকেড ইজ নরমাল’।
এরকম উল্টো ঘোরার সিদ্ধান্তকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ ‘সময়োপযোগী’ বলে মন্তব্য করলেও অনেকে আবার একে চিহ্নিত করেছেন প্লেবয়ের ‘কাটতি কমে যাওয়া’কে কারণ হিসেবে।
“নগ্নতা কখনো সমস্যা ছিল না, কারণ নগ্নতা সমস্যা নয়,” বলেন প্লেবয়-এর প্রতিষ্ঠাতা হিউ হেফনারের ২৫ বছর বয়সী ছেলে।
শুধু নগ্নতা ফিরিয়ে আনা নয়, আগামী সংস্করণে ফিরিয়ে আনা হবে প্লেবয় ফিলোসফি, পার্টি জোকসের মতো জনপ্রিয় বিভাগগুলো।
তবে প্রচ্ছদে ‘সাবটাইটেল’ থেকে ছেঁটে ফেলা হচ্ছে ‘এন্টারটেইনমেন্ট ফর ম্যান’ কথাটি।
১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীর্ঘ সময় বাজারে দাপিয়ে বেড়ানো এই ‘লাইফস্টাইল’ সাময়িকী ২০১৬ সালে তাদের নীতি পরিমার্জন করে নগ্নতাকে বিদায় জানায়।
সে সময় প্রতিষ্ঠানটির মালিকপক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ইন্টারনেটে পর্নের ছড়াছড়ির কারণে নগ্নতা এখন সেকেলে হয়ে গেছে। আর সে কারণেই প্লেবয়ের মতো ম্যাগাজিন বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক নয় এখন।
সত্তরের দশকে প্লেবয়ের কাটতি ছিল প্রায় ৫৬ লাখ, যা ২০১৬ সালে সাত লাখে নেমে এসেছিল।