শুক্রবারের এ ভূমিকম্পে কিছু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
৬ দশমিক ৭ মাত্রার এ ভূমিকম্পটির উৎপত্তি সুরিগাও শহরের ১৩ কিলোমিটার পূর্বে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীর বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা।
ভূমিকম্পটির কারণে কোনো সুনামির আশঙ্কা নেই বলে নিশ্চিত করেছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
ভূমিকম্পটির পর বেশ কয়েকটি পরাঘাত হয়েছে বলে শনিবার সকালে জানিয়েছেন ফিলিপিন্সের ভূকম্পন সংস্থার প্রধান রেনাতো সোলিদাম।
১৮৭৯ সালের ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পটির পর থেকে এটিই মিন্দানাওয়ে সংঘটিত সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প বলে জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় রেডিওর প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে আতঙ্কিত লোকজন খোলা জায়গায় জড়ো হন এবং পার্কগুলোতে ও অন্যান্য আশ্রয় কেন্দ্রে রাত কাটান।
সুরিগাও শহরের কাউন্সিলর রাইস রেকাবো জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে একটি সেতু ও একটি হোটেল ধসে পড়েছে এবং কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় বিপর্যয় ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সুরিগাও বিমানবন্দরের রানওয়েতে ফাটল সৃষ্টি হওয়ায় বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।