ইনস্টাগ্রামে স্তন্যদানের ছবি নিয়ে বিতর্ক

শিশুকে স্তন্যদানের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে ভক্ত-অনুসারীদের একটি অংশের সমালোচনার মুখে পড়েছেন টামারা একেলেস্টন নামে এক ব্রিটিশ মডেল।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Feb 2017, 02:31 AM
Updated : 12 Feb 2017, 04:53 AM

তার এ ধরনের পদক্ষেপকে ‘ঘৃণিত কাজ’ হিসেবেও কেউ কেউ আখ্যায়িত করেছেন। 

ইনস্টাগ্রামে ৩২ বছর বয়সী আবেদনময়ী মডেল টামার যে ছবি আপলোড করেছিলেন তা ছিল মূলত প্রায় তিন বছর বয়সী তার কন্যা সোফিয়াকে স্তন্যদানের একটি দৃশ্য।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্ত ও অনুসারীদের এমন মন্তব্য মায়েদের স্তন্যদানের স্বাধীনতা নিয়ে থাকা বিতর্ককে আরো একবার উস্কে দিল।

কত বছর বয়স পর্যন্ত এবং কতোটা খোলামেলা স্থানে  স্তন্যপান করানো যাবে সে বিষয়টিও সামনে চলে এসেছে মন্তব্য থেকে।

মডেল টামারা ছবিটি প্রকাশ করে লিখেছেন- শিশুর প্রতি মমতা এবং তার যত্ন গোপন রাখার বিষয় নয়।

অবশ্য কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মতো উন্মুক্ত স্থানে শিশুকে স্তন্যপান করানোর ছবি প্রকাশ কতোটা যৌক্তিক।

ইনস্টাগ্রামে আরেকজনের মন্তব্য: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাচ্চার সবরকম ছবি সেঁটে দেওয়া কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।

“হ্যাঁ, নিঃসন্দেহে এটি একটি পবিত্র বিষয়। তবে শিশুটির বয়স যখন প্রায় তিন বছর হয়ে যায় তখন তা কি খানিকটা বিব্রতকর নয়?” মন্তব্য আরেক অনুসারীর।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের অনুসরণকারীদের এমন মন্তব্যে বিব্রত টামারা একেলেস্টন।

তিনি এ বিষয়ে বলেন, “এটা খুবই দুঃখজনক এবং অবাক হওয়ার মতো বিষয় যে আমার ওই ছবিতেও মানুষ নেতিবাচক মন্তব্য করেছে।”

একদিনের মাথায় দ্বিতীয় আরেকটি  স্তন্যদানের ছবি আপলোড করে তিনি লেখেন, “আমি মায়েদের ক্ষমতায়ন চাই এবং এটাকে সমর্থন করি। ব্যক্তিগতভাবে আমি বুঝি ঘৃণা ব্যক্তির আত্মার জন্য ভালো কিছু নয়।”

নেতিবাচক মন্তব্য এলেও লিথুনিয়ান আলোকচিত্রি আভেত্তে আইভেন্সের তোলা ওই ছবির পক্ষে ছিল অনেকেই।

একজন লেখেন, “আমি তো চার বছর বয়সের আগে পর্যন্ত আমার মেয়েকে  স্তন্যপান করিয়েছি। আমি খুব অবাক হচ্ছি কেন মানুষ বিষয়টাকে এভাবে দেখছে।”

হেলেন টমিলসন নামে একজন লিখেছেন, “বেশ সুন্দর। জনসম্মুখে, এমন কি আমার পরিবারের সদস্যদের সামনেও লজ্জার কারণে বাচ্চাকে মাত্র একমাস আমি বুকের দুধ পান করাতে পেরেছিলাম।”