ইরানে ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের (যে বিপ্লবে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত শাহ এর পতন হয়) বর্ষপূর্তিতে শ’ শ’ সামরিক ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ আরও অনেক মানুষ রাজধানী তেহরানের আজাদি স্কয়ার অভিমুখে মিছিল করে।
তাদের হাতে ছিল ‘আমেরিকা নিপাত যাক’ লেখা ব্যানার এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কুশপুত্তলিকা। মিছিলের সঙ্গে সঙ্গে সামরিক পুলিশের একটি ব্যান্ড দল ইরানের ঐতিহ্যবাহী বিপ্লবী গানও বাজায়।
ইরান আমেরিকার ‘হুমকিকে’ ভয় পায়না- তা দেখিয়ে দিতে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি মঙ্গলবার ইরানিদেরকে বিক্ষোভে নামার ডাক দেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বিক্ষুব্ধ ইরানিরা ট্রাম্পের ছবি পায়ে মাড়িয়ে তেহরানের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে।
“আমেরিকা এবং ট্রাম্প কচুটাও করতে পারবে না। আমরা আমাদের নেতা খামেনির জন্য জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত,” বলতে শোনা যায় এক তরুণ ইরানিকে।
২৯ জানুয়ারিতে ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর কারণে গত সপ্তাহে ট্রাম্প ইরানকে ‘নজরদারিতে রাখার’ হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি দেশটির কয়েকজন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
কিন্তু এতেও ইরান ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করবে না বলে জানায়।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিও শুক্রবার সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ইরানিদেরকে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
আজাদি স্কয়ারে সমবেতদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আঞ্চলিক কয়েকজন অভিজ্ঞ মানুষ এবং আমেরিকা ইরানকে হুমকি দিচ্ছে... তাদের জানা উচিত যে, হুমকির ভাষা দিয়ে ইরানে কোনও কাজ কখনও হয়নি। তাদেরকে ইরান ও ইরানিদেরকে সম্মান করা শিখতে হবে... আমরা যে কোনও যুদ্ধংদেহী নীতি কঠোরভাবে মোকাবেলা করব।”
রুহানির ডাকে সাড়া দিয়ে ইরানজুড়ে লাখ লাখ মানুষ বিক্ষোভে রাস্তায় নেমে আসে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় টিভি।