মিয়ানমারে পৌঁছে বিক্ষোভের মুখে মালয়েশিয়ার ত্রাণবাহী জাহাজ

মিয়ানমারের গোলযোগপূর্ণ রাখাইন রাজ্যের অসহায় রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রীবাহী মালয়েশিয়ার জাহাজ ইয়াঙ্গুনে পৌঁছেই ছোট্ট একটি দলের বিক্ষোভের মুখে পড়েছে।

>>রয়টার্স
Published : 9 Feb 2017, 02:08 PM
Updated : 9 Feb 2017, 04:53 PM

এ মাসের শুরুর দিকে মালয়েশিয়া থেকে রওনা হয়ে বৃহস্পতিবার ইয়াঙ্গুনের উপকণ্ঠে ভিড়েছে জাহাজটি।

এ ত্রাণবহর থেকে খাবার ও ওষুধসহ অন্যান্য প্রায় ৫০০ টন প্রয়োজনীয় সামগ্রী মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সরবরাহ করার কথা রয়েছে। আর বাকী ২ হাজার ২শ’ টন সাহায্য পাঠানোর কথা রয়েছে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন‌্য।

মিয়ানমার থেকে দমনাভিযানের মুখে গত চারমাসে প্রায় ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

মিয়ানমার থেকে জাহাজটি পরবর্তী যাত্রায় বাংলাদেশের টেকনাফ বন্দরের দিকে রওনা হবে।

মালয়েশিয়ার মুসলিম সংগঠনগুলোর পাশাপাশি দেশীয় এবং বিদেশি ত্রাণ সংগঠনগুলো রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণবাহী এ জাহাজের আয়োজন করেছে।

মুসলিম অধুষ্যিত মালয়েশিয়া থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য এ ত্রাণ আসায় ক্ষুব্ধ হয়েছে মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধরা। বৌদ্ধদের অনেকেই রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী বলে মনে করে।

মালয়েশিয়া মিয়ানমারে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর দমনপীড়ন নিয়ে প্রকাশ্যেই কড়া সমালোচনা করে এসেছে। মিয়ানমার সরকারকে রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক।

গত বছর ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের পুলিশ ফাঁড়িতে হামলায় ৯ পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার পর থেকে রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর চরম নিপীড়ন শুরু করে সেনাবাহিনী। শ’ শ’ রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়। ধর্ষণ করা হয় বহু নারীকে। জীবন বাঁচাতে হাজার হাজার রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে পালায়।

কিন্তু অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ওপর দমনপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর সহিংসতার বেশির ভাগ খবরই অতিরঞ্জিত বলে মন্তব্য করেছে সরকার। তাছাড়া, রাখাইন রাজ্যে সংঘাতও ওই রাজ্যের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে সরকার অভিহিত করেছে।