সিরিয়ায় লাদেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগীসহ নিহত ১১

চলতি মাসে সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়ে আল কায়েদার ১১ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। 

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Feb 2017, 04:21 AM
Updated : 9 Feb 2017, 04:23 AM

নিহতদের মধ্যে আল কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আবু হানি আল মাসরিও আছেন বলে বুধবার জানিয়েছেন পেন্টাগনের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেফ ড্যাভিস, খবর বিবিসি, বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

৩ ফেব্রুয়ারি চালানো একটি বিমান হামলায় ১০ জঙ্গি নিহত হন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন তিনি। বৈঠকের স্থান হিসেবে ব্যবহৃত একটি ভবনে চালানো হামলায় এরা সবাই নিহত হন। ৪ ফেব্রুয়ারি চালানো আরেকটি বিমান হামলায় আল মাসরি নিহত হন।

সিরিয়ার ইদলিবের কাছে এসব বিমান হামলা চালানো হয়।

বলা হয়, আল মাশরি ১৯৮০ ও ১৯৯০-র দশকে আফগানিস্তানে আল কায়েদার প্রশিক্ষণ শিবির স্থাপন করে সেগুলো পরিচালনা করতেন এবং হাজার হাজার জঙ্গিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। ২০১১ সালে পাকিস্তানে মার্কিন বাহিনীর কমান্ডো অভিযানে বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর আল কায়েদার দায়িত্ব নেওয়া আয়মান আল জাওয়াহিরির সঙ্গেও আল মাসরির ঘনিষ্ঠ মিত্রতা ছিল।

“এই আঘাতে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আল কায়েদার হামলা করার ক্ষমতা বিপর্যস্ত হবে,” বলেন ডেভিস। 

প্রধানত শাখা জঙ্গিগোষ্ঠী জাবহাত ফাতেহ আল শামের মাধ্যমে সিরিয়ায় নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আল কায়েদা। ফাতেহ আল শাম আগে আল নুসরা ফ্রন্ট নামে পরিচিত ছিল।

২০১৬-র মাঝমাঝি জাবহাত ফাতেহ আল শাম ঘোষণা করেছিল, এরপর থেকে তারা বিদেশি কোনো গোষ্ঠীর শাখা হিসেবে কাজ করবে না। এতে ধারণা করা হয়েছিল, গোষ্ঠীটি আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করেছে।

কিন্তু পরে ধারণা হয়, ফাতেহ আল শামের নেতৃত্ব পর্যায়টি সম্ভবত আল কায়েদার সঙ্গে এখনও ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে আছে।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদনে প্রথম সামরিক অভিযান চালায় মার্কিন বাহিনী। ইয়েমেনে আল কায়েদার বিরুদ্ধে চালানো ওই অভিযানে ১৬ বেসামরিকসহ যুক্তরাষ্ট্রের নেভি সিল বাহিনীর এক সেনা নিহত হন।

বিপর্যয় সত্বেও ওই অভিযানকে সফল বলে দাবি করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। ওই অভিযান থেকে মূল্যাবান গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার দাবি করেছিল তারা।