তিনি বলেছেন, সব দেখে আদালতকে তার কাছে ‘অনেকটাই রাজনৈতিক’ দৃষ্টিভঙ্গির মনে হচ্ছে।
নানা উক্তির কারণে বিভিন্ন মহলে সমালোচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন এক সময় নতুন করে আদালতের প্রতি খেদ ঝাড়লেন, যখন তার দেওয়া নির্বাহী আদেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করে রুল জারি করেছে একটি আদালতে।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
তবে আদালতের আদেশে গত সপ্তাহে ওই নিষেধাজ্ঞার একটি অংশ স্থগিত হয়ে যায়।
ফেডারেল কোর্টের ওই আদেশ বাতিল চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের করা একটি আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে শনিবার নাইন্থ সার্কিট আপিল কোর্ট নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের দাবি নাকচ করে দেয়।
আদেশে বলা হয়, পুরো আপিল শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত ট্রাম্পের ওই নিষেধাজ্ঞা স্থগিতই থাকছে। বুধবার শুনানি শেষে আপিল আদালত রায় দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার ওয়াশিংটন হোটেলে প্রধান শহরগুলোর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে আদালতের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গটি টেনে আনেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি একটি আদালতকে পক্ষপাতদুষ্ট বলতে চাই না। সুতরাং আমি এটাকে পক্ষপাতদুষ্ট বলবো না। তাছাড়া আমরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি।
“তবে আদালতের কার্যকলাপ দেখে মনে হচ্ছে তারাও রাজনৈতিক। তারা যদি পুরো বিষয়টির চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেন, সেটিই হবে আমাদের বিচার পদ্ধতির জন্য মঙ্গলময়।”
“আমি মনে করি আজ একটি বাজে দিন গিয়েছে। আমার মনে হয় আমাদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে,” যোগ করেন তিনি।
গত ২৭ জানুয়ারি ট্রাম্পের স্বাক্ষর করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার নির্বাহী আদেশে পরবর্তী চারমাসের জন্য সব ধরনের শরণার্থী ও পরবর্তী তিন মাসের জন্য ওই সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
শুক্রবার ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের ফেডারেল বিচারক ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশ স্থগিত করে রুল জারি করেন।
কিন্তু স্থগিতাদেশের একদিন পরই শনিবার এর বিরুদ্ধে আপিল করে ট্রাম্প প্রশাসনের অধীন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ।
আপিলে তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করার আবেদন জানানো হলেও তা অগ্রাহ্য করে বিষয়টি নিয়ে হোয়াইট হাউস ও বিচার বিভাগকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার কথা বলে আপিল আদালত।