দু’টো শহরই নিয়ন্ত্রণ করছে আইএস। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কয়েকজন কর্মকর্তা বুধবার একথা জানিয়েছেন।
সিরিয়ায় নিরাপদ অঞ্চল গড়ে তোলা, শরণার্থী সংকট, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইসহ আরও নানা বিষয় নিয়ে দু’নেতার কথা হয়েছে এবং এরদোয়ান সিরিয়ার কুর্দি ওয়াইপিজি মিলিশিয়াদেরকে সমর্থন না দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছেন বলেও জানান কর্মকর্তারা।
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, দু’দেশ যে কোনও ধরনের সন্ত্রাস মোকাবেলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তাছাড়া, আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তুরস্কের অবদানের জন্য তিনি দেশটিকে স্বাগতও জানিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি হোয়াইট হাউস।
যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনীর মিত্রজোট ‘দ্য সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস’ (এসডিএফ) শনিবার থেকে রাক্কায় আইএসের বিরুদ্ধে প্রচারণার নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করেছে। ওয়াইপিজি মিলিশিয়ারা এই এসডিএফ এরও শরিক।
নেটো মিত্র দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশনের অংশ হিসাবে তুরস্ক বরাবরই রাক্কা জঙ্গিমুক্ত করার অভিযানে অংশ নিতে চেয়ে এসেছে। কিন্তু এ অভিযানে তারা ওয়াইপিজি’কে কখনওই চায়নি।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে ওয়াইপিজি মিলিশিয়াদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কারণে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল ছিল না।
আঙ্কারা ওয়াইপিজি কুর্দি মিলিশিয়াদেরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবেই দেখে।
তবে মঙ্গলবারের ফোনালাপে ট্রাম্প তুরস্কের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন উভয় দেশের নেতার কর্মকর্তারাই।