মিয়া হত্যা ট্রাম্পের ‘সন্ত্রাসী হামলা’ তালিকায়: মায়ের সমালোচনা

অস্ট্রেলিয়ায় ছুরিকাঘাতে নিহত এক ব্রিটিশ তরুণীর মৃত্যুকে ‘সন্ত্রাসী হামলার’ ঘটনা হিসেবে তালিকাভুক্ত করায় হোয়াইট হাউজের কড়া সমালোচনা করেছেন ওই তরুণীর মা।

নিউজডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Feb 2017, 06:32 AM
Updated : 8 Feb 2017, 06:32 AM

গত বছর অগাস্টে কুইন্সল্যান্ডের টাউন সিলভায় একটি হোস্টেলে উপুর্যপরি ছুরিকাঘাতে নিহত হন ২০ বছর বয়সী মিয়া অ্যাইলিফ-চাং।

যুক্তরাজ্য ছাড়াও আন্তর্জাতিক অনেক গণমাধ্যমে প্রাথমিকভাবে সেটিকে সন্ত্রাসী হামলা বলা হলেও পরে পুলিশ জানিয়েছিল, মিয়া হত্যাকাণ্ড জঙ্গি সংশ্লিষ্ট ঘটনা নয়।

তারপরও ট্রাম্প প্রশাসনের প্রকাশ করা ৭৮টি ‘সন্ত্রাসী হামলার’ তালিকায় মিয়া হত্যাকাণ্ড অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

মিয়ার মা রোজ অ্যাইলিফ বলেন, নিরপরাধ মানুষদের নিগৃহীত করতে মিয়ার মৃত্যুকে ব্যবহার করা কোনো ভাবেই উচিত হয়নি।

সম্প্রতি সাত মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের উপর ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারির পর বিশ্ব জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়।

যার জবাবে ট্রাম্প বলেছিলেন, উন্নত দেশ বিশেষ করে ইউরোপজুড়ে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনুসারীদের দ্বারা হওয়া সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাগুলো ‘গণমাধ্যমে চেপে যাওয়া’ হয়েছে।

প্রেসিডেন্টের ওই দাবির পক্ষে প্রমাণ হিসেবে হোয়াইট হাউজ থেকে ‘সন্ত্রাসী হামলার’ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

বিবিসির খবরে বলা হয়, তালিকায় প্যারিসের বাতাক্লঁ কনসার্ট হলে হামলা এবং তিউনিসিয়ার সমুদ্রতীরের শহর সুসে হামলার ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এক খোলা চিঠিতে মিয়ার মা বলেন, “আমাদের তথাকথিত সভ্য দুনিয়ায় অভিবাসীদের সঙ্গে বাতিল পণ্যের মত ব্যবহার করা হচ্ছে এবং তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি পুরোপুরি উপেক্ষিত, যা ‍মৃত্যু ঢেকে আনছে।”

২৯ বছর বয়সী ফ্রান্সের নাগরিক এসমাইল আয়াদের বিরুদ্ধে মিয়া হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই ঘটনায় টমাস জ্যাকসন নামে আরও একজন ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছিলেন। যিনি পরে হাসপাতালে মারা যান।

চিঠিতে মিয়ার মা আরও বলেন, “পুলিশি তদন্তের পর শুরুতেই মিয়া ও টমের হত্যাকাণ্ডে ইসলামিক জঙ্গিদের জড়িত থাকার সম্ভাবনার বিষয়টি বাতিল হয়ে যায়।”

“এভাবে ধর্মের ভিত্তিতে পুরো দেশ ও দেশের সব নাগরিকদের মূল্যায়ন করা একটি আতঙ্কজনক পরিস্থিতির ভয়ঙ্কর সতর্কবার্তা। এর মাধ্যমে আমরা ওইসব অজ্ঞ লোকেদের আমাদের নেতৃত্ব দেওয়ার অনুমতি দিচ্ছি যাদের মন অন্ধকার ও বিদ্বেষে পূর্ণ।”