কানপুর ট্রেন দুর্ঘটনায় জড়িত ‘পাকিস্তানি চর’ আটক

ভারতের কানপুরে গত বছরের শেষদিকে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য দায়ী সন্দেহে নেপালে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Feb 2017, 06:59 AM
Updated : 7 Feb 2017, 07:04 AM

শামসুল হুদা নামে ওই ব্যক্তিকে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-র সদস্য বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, জানিয়েছে এনডিটিভি।

দুবাই কর্তৃপক্ষ হুদাকে শনিবার নেপালে ফেরত পাঠিয়েছিল বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।  নেপালে ফেরার পর তাকে গ্রেপ্তার করে নেপালি পুলিশ।  

নভেম্বরে এক ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ইন্দোর-পাটনা এক্সপ্রেসের ১৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে দেড়শরও বেশি যাত্রী নিহত হন। রেললাইনে পেতে রাখা বোমা বিস্ফোরণের কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা ভারতীয় পুলিশের।

এই নাশকতার নির্দেশদাতা হিসেবে হুদাকে সন্দেহ করা হচ্ছে। তার নির্দেশেই রেল লাইনে বোমা পাতা ও গ্যাস কাটার ব্যবহার করে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত করা হয় বলে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) অভিযোগ। 

বিহারের মতিহারিতে দুই যু্বককে হত্যার ঘটনায় জানুয়ারিতে ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে উমাশঙ্কর প্যাটেল, মতিলাল পাসওয়ান ও মুকেশ যাদব নামের তিনজনকে আটকের পর কানপুর দুর্ঘটনায় আইএসআই এর হাত থাকার বিষয়টি বেরিয়ে আসে।

পুলিশের ভাষ্য, ওই তিনজন দুবাই ভিত্তিক আইএসআই-র একজন নেপালি এজেন্টের নির্দেশনায় কাজ করছিলেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর হয়ে কাজ করা এবং রেলওয়েকে হামলার টার্গেট করার কথা স্বীকারও করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছিল।

কানপুর ট্রেন দুর্ঘটনার পেছনে দুই পরিকল্পনাকারী হিসেবে দিল্লির বাসিন্দা শামসুল হুদা এবং নেপালের নাগরিক ব্রজকিশোর গিরিকে শনাক্ত করে পুলিশ। এদের মধ্যে শামসুল হুদার নির্দেশনাতেই গিরি ও অন্যেরা কাজ করেছে বলে তদন্তে উঠে আসে।

আটককৃত মতি পাসওয়ান, উমা শংকর প্যাটেল এবং মুকেশ যাদবকে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছিলেন ব্রজকিশোর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তদন্ত কর্মকর্তা এনডিটিভি’কে জানিয়েছিলেন, মতি পাসওয়ান ‘স্বীকার’ করেছেন নিহত অরুণ ও দীপক রাম নামের ওই দুই তরুণকে ব্রজকিশোরের নির্দেশে ১ অক্টোবর হত্যা করা হয়।

তারা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নেপাল সীমান্তের কাছে চম্পারাম এলাকায় একটি রেললাইনে বোমা পাততে ব্যর্থ হয়েছিল। একটি যাত্রীবাহী ট্রেন সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় শেষ মুহূর্তে তারা বোমা হামলা না করার সিদ্ধান্ত নেয়।

হুদার নির্দেশেই ব্রাজকিশোর তাদের ২০ থেকে ২৫ লাখ রুপি দিয়েছিল। কিন্তু পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না করায় দুই যুবককে হত্যার নির্দেশ দেন হুদা।

ভারতে সাম্প্রতিক সব ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য পাকিস্তানি গোয়েন্দা আইএসআইকে দায়ী করেছে ভারতের শীর্ষ সন্ত্রাস-বিরোধী সংস্থা এনআইএ।