সোমবার অধিবেশন চলাকালে লেবার পার্টির এক সদস্যের প্রশ্নের জবাবে স্পিকারের বলিষ্ঠ প্রতিক্রিয়ায় সাংসদরা তুমুল করতালি দিয়ে স্বাগত জানান।
ট্রাম্পের শরণার্থী পুনর্বাসন ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এই সিদ্ধান্তের পেছনে অন্যতম কারণ বলে বেরকাউকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে।
“অভিবাসন নিয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগেও আমি ওয়েস্টমিনস্টার হলে ট্রাম্পের বক্তৃতার বিরোধী ছিলাম। নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর আমার অবস্থান এখন এ বিষয়ে আরও কট্টর।”
পার্লামেন্টে বিদেশি নেতাদের ভাষণের ক্ষেত্রে নিম্নকক্ষের স্পিকারের অনুমোদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
স্পিকার বেরকাউ ট্রাম্পবিরোধী কট্টর অবস্থান নেওয়ায় ওয়েস্টমিনস্টার হলে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্টের ভাষণের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে গেল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বেরকাউ বলেন, “বিদেশি নেতা হিসেবে পার্লামেন্টের দুই কক্ষে বক্তব্য দেওয়া কারও অধিকার নয়, এটি অর্জন করে নিতে হয়।”
এ সময় সাংসদরা তুমুল হর্ষধ্বনি ও করতালি দেয় বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারাক ওবামা ২০১১ সালে সংসদীয় গণতন্ত্রের সবচেয়ে প্রাচীন ভবনখ্যাত ওয়েস্টমিনস্টার হলে ভাষণ দেন। তার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ডেলা ও ফ্রান্সের চার্লস দ্য গল এ সম্মান পেয়েছিলেন।
গত ২৭ জানুয়ারি স্বাক্ষর করা ওই আদেশ অনুযায়ী, আগামী চার মাস যুক্তরাষ্ট্রে কোনো শরণার্থী প্রবেশের সুযোগ পাবেন না। আর সিরিয়ার শরণার্থীদের জন্য পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই আদেশ কার্যকর থাকবে।
সেইসঙ্গে আগামী ৯০ দিন মুসলিম প্রধান সাত দেশ ইরাক, ইরান, সিরিয়া, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
এর প্রতিবাদে যুক্তরাজ্যের কয়েক হাজার নাগরিক শনিবার লন্ডনের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে।
ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর ঠেকাতে দেশটির প্রায় ১৮ লাখ নাগরিক এক পিটিশনে স্বাক্ষর করেছে। সেখানে বলা হয়েছে- ট্রাম্পের সফর বাতিল করা হোক বা রানি এলিজাবেথের বিবৃত হওয়া ঠেকাতে অন্তত তার সফর ছাঁটাই করা হোক।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে ট্রাম্পের সফরের পক্ষে অবস্থান নিলেও দেশটির দেড়শ’রও বেশি সাংসদ পার্লামেন্টে তার ভাষণ দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার বিরোধিতা করে স্পিকারের কাছে চিঠি লিখেছেন।
এই প্রেক্ষিতে লেবার পার্টির এক সাংসদ স্পিকারের কাছে ট্রাম্পের সফরের সময় পার্লামেন্টে তার ভাষণ দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে জানতে চাইলে বেরকাউ তার বিরোধিতা করবেন বলে জানান।
“পার্লামেন্টের উদ্বেগের প্রেক্ষিতে আমি দৃঢভাবে বলতে চাই, আমরা বর্ণবাদ ও লিঙ্গ বৈষম্যের কট্টর বিরোধী; সমতার প্রতি আমাদের সমর্থন আইন কিংবা স্বতন্ত্র বিচার ব্যবস্থারও আগে। এগুলোকে অবশ্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।”