তার অধীনে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে দেশ দু’টি বহুদিন ধরেই উদ্বিগ্ন।
শনিবার হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সিয়ান স্পাইসর বলেন, আগামী শুক্রবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র সঙ্গে দেখা করবেন ট্রাম্প।
ওদিকে, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এরই মধ্যে ট্রাম্প শনিবার ফোনে কথা বলেছেন এবং ৩১ জানুয়ারিতে তাদের বৈঠকের দিন ধার্য হয়েছে বলেও জানিয়েছেন স্পাইসার।
নতুন প্রেসিডেন্টের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মিত্র যুক্তরাজ্য ও মেক্সিকোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক কেমন হবে তার অনেকটাই এ বৈঠক থেকে বোঝা যাবে।
যুক্তরাজ্যের বৈদেশিক নীতি অনেকাংশে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের ‘বিশেষ সম্পর্কের’ ওপর নির্ভরশীল।
যদিও ট্রাম্পের দলের সঙ্গে মে’র সম্পর্ক এখনও তেমন ঘনিষ্ঠ নয়।
যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ত্যাগের পক্ষে ছিলেন ট্রাম্প। যদিও মে ওই সময় যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের মত ইইউ’তে থেকে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছিলেন।
ইইউ-র সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে অনুষ্ঠিত গণভোটে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পক্ষে রায় আসার পরদিন পদত্যাগ করেন ক্যামেরন, প্রধানমন্ত্রীর হন মে।
যুক্তরাজ্যের ইইউ ত্যাগের পক্ষে সবচেয়ে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন নাইজেল ফারাজ, যার সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।
স্পাইসর বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাজ্যের সঙ্গে দ্রুত একটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি করতে চান।
এ বিষয়ে জানতে রয়টার্সের পক্ষ থেকে মে’র কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
ওদিকে, মেক্সিকোর নেতার সঙ্গে ট্রাম্পের ৩১ জানুয়ারির বৈঠকেও বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্পাইসার। এছাড়া, আলোচ্যসূচিতে অভিবাসন এবং নিরাপত্তার বিষয়ও রয়েছে।
ট্রাম্প বলেছেন, ১৯৯৪ সালে কানাডা ও মেক্সিকোর সঙ্গে হওয়া ‘নর্থ আমেরিকান ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট’ নিয়ে তিনি পুনরায় আলোচনা করতে চান, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিকদের সুযোগ বৃদ্ধি করা যায়।
শনিবার ট্রাম্প কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডেয়াউয়ের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন বলে জানান স্পাইসর।
“শিগগিরই বৈঠকে বসার বিষয়ে উভয় নেতা আলাপ করেছেন।”