আদালতের ছাড়পত্র পেলেন ট্রাম্প জামাতা কুশনার

স্বজনপ্রীতি-বিরোধী ফেডারেল আইন লঙ্ঘন না করেই জামাতা জ্যারেড কুশনারকে হোয়াইট হাউসের একজন জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দিতে পারবেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ।

>>রয়টার্স
Published : 22 Jan 2017, 09:00 AM
Updated : 22 Jan 2017, 09:00 AM

নিজেদের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা ২০ জানুয়ারি তারিখ দেওয়া ১৪ পাতার একটি চিঠিতে বিচার বিভাগের লিগ্যাল কাউন্সল দপ্তর এ কথা জানিয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, স্বজনপ্রীতি-বিরোধী আইনে ফেডারেল কোনো সংস্থায় কোনো আত্মীয়কে নিয়োগ দিতে পারবেন না প্রেসিডেন্ট, তবে হোয়াইট হাউসের কোনো পদে নিয়োগের বেলায় প্রেসিডেন্টের বিশেষ ক্ষমতা আছে, যা তাকে স্বজনপ্রীতি আইন থেকে অব্যহতি দেয়। 

বিচার বিভাগের এই সিদ্ধান্তের কথা প্রথম জানিয়েছে নিউজ ইয়র্ক টাইমস, বলেছে শনিবার বিচার বিভাগের সাইটে চিঠিটি পোস্ট করা হয়েছে।

ট্রাম্পের বিশাল বাণিজ্য সাম্রাজ্যের স্বার্থ, নিজের প্রতিষ্ঠানে পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ দেওয়ার ইতিহাস এবং কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্পের প্রভাব নিয়ে ভোটার ও আইনপ্রণেতাদের প্রশ্নের সূত্র ধরে কুশানারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে, যিনি ইভাঙ্কার স্বামী।

কুশানারকে হোয়াইট হাউসে তার অন্যতম প্রধান উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

কুশনারের এই নিয়োগ ঘোষণার পরপরই আপত্তি তোলে ডেমোক্রেটরা। স্বজনপ্রীতি-বিরোধী আইনের উল্লেখ করে এই নিয়োগ ওই আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানায় তারা।

হোয়াইট হাউসের কাউন্সল দপ্তর কুশনারের ভূমিকা নিয়ে বিচার বিভাগের কাছে চূড়ান্ত মতামত চেয়ে পাঠায়।

বিচার বিভাগে জানিয়েছে, কুশনারকে যদি ট্রাম্প দাপ্তরিকভাবে নিয়োগ দিতে চান এবং হোয়াইট হাউসের কর্মীদের জন্য সচারচর যে নিরাপত্তা ছাড়পত্র দেওয়ার হয় তা দেন, তাহলে কনফ্লিক্ট-অব-ইন্টারেস্ট আইন প্রযোজ্য হবে এবং কুশনার এই আইনের বিধিনিষেধগুলো মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন। 

“ব্যক্তিগত যোগাযোগ থেকে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণে প্রেসিডেন্টকে কংগ্রেস বাধা দেয়নি এবং সম্ভবত বাধা দিবেও না।

“তারপরও যদি স্বজনপ্রীতি-বিরোধী সংবিধি প্রেসিডেন্টকে হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা পদে কোনো আত্মীয়কে নিয়োগ দেওয়া থেকে বিরত রাখতো, তাও সাধারণ নাগরিক হিসেবে প্রেসিডেন্টে ওই আত্মীয়দের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারবেন,” উত্তর দিয়েছে বিচার বিভাগ।