নির্বাচনী প্রচারের সময় নারীদের নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। নিউ ইয়র্কের এই ধনকুবেরের শাসনামলে নারীর অধিকার যাতে হুমকির মুখে না পড়ে সে বিষয়ে সতর্ক করতেই এই বিক্ষোভ বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
নারী ছাড়াও অভিবাসন, মেক্সিকান ও মুসলিমদের নিয়ে ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্য উদারপন্থি অনেক আমেরিকানের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করেছে বলে রয়টার্সের ভাষ্য।
উপচেপড়া ভিড়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ওয়াশিংটনের মেট্রো সাবওয়ে সিস্টেম। ব্যাপক জনসমাগমের কারণে ট্রেন চলাচল বিলম্ব হওয়ার কথা জানিয়েছে তারা। প্ল্যাটফর্ম ভরে যাওয়ায় অন্তত একটি স্টেশনে নতুন যাত্রীদের প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে।
ওয়াশিংটনের শহরতলির ইন্ডিপেনডেন্স অ্যাভিনিউয়ের অন্তত ছয়টি ব্লক মানুষের ভিড়ে পূর্ণ হয়ে গেছে।
শুক্রবার বিক্ষোভের মধ্যে ব্যাংক অফ আমেরিকার একটি শাখা ও ম্যাকডোনাল্ডসের একটি বিপণন কেন্দ্র ভাংচুর করা হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদুনে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় দুই শতাধিক বিক্ষেোভকারীকে।
যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ও সঙ্গীত শিল্পী ম্যাডোনার মতো অনেক পরিচিত মুখ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
কেটি পেরি, স্কারলেট জনসন, প্যাট্রিসিয়া অরকুয়েটি ও মাইকেল মুরের মতো তারকারাও মিছিলে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছিলেন বিক্ষোভ আয়োজকরা।
১৯ মাস বয়সী মেয়ে মারেনকে নিয়ে শনিবারের এই বিক্ষেোভে যোগ দেন বনি নর্টন (৩৫) ও জেফারসন কোল (৩৬)।
“ট্রাম্প যা যা করতে চান তার সব কিছু আমাদের কাছে অস্বস্তিকর,” বলেন নর্টন।
“নতুন সরকারের প্রথম পূর্ণ কার্যদিবসে ওয়াশিংটনে ‘দ্য উইমেন্স মার্চ’ এর মাধ্যমে আমরা তাদের এবং বিশ্বের কাছে সুস্পষ্ট করে বার্তা দিতে চাই যে, নারী অধিকার মানেই মানবাধিকার।”
এটা শুধু নারী অধিকারের জন্য নয়, বরং সব ধরনের- লিঙ্গ, বয়স, ধর্ম, সংস্কৃতি ও রাজনীতির মানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
ওয়াশিংটনের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে লন্ডন, সিডনি, টোকিওসহ এশিয়া ও ইউরোপের অনেক শহরে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে বলে রয়টার্সের খবর।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শহরেও বিক্ষোভের খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।