শুক্রবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর হোয়াইট হাউসে নিজের প্রথম কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এ নির্দেশ জারি করেন তিনি।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় তার পূর্বসূরির স্বাস্থ্যসেবা আইনটি অকার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
শপথের পর শোভাযাত্রা করে হোয়াইট হাউসে আসেন ট্রাম্প। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই হোয়াইট হাউসের প্রেসিডেন্ট দপ্তর ওভাল অফিসে উপস্থিত হন। এখানে অ্যাফোর্ড্যাবল কেয়ার অ্যাক্ট নিয়ে একটি আদেশে স্বাক্ষর করেন।
এই আদেশে সরকারি বিভাগগুলোকে আইনটি ‘ব্যবহার না করা, মুলতবি রাখা, অব্যাহতি প্রদান করা, বাস্তবায়নে বিলম্ব করার’ উপায় বের করার আহ্বান জানানো হয়েছে, যে আইনটি রাষ্ট্র, কোম্পানিগুলো ও ব্যক্তিবর্গের ওপর রাজস্বের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে।
এতে রাজ্যগুলোকে স্বাস্থ্যসেবার কর্মসূচীগুলো বাস্তবায়নে অধিকতর ক্ষমতা দিতে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেছিলেন, তথাকথিত ‘ব্যক্তিগত ম্যান্ডেট’ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি সম্প্রসারিত করতে পারেন ট্রাম্প; এই ‘ম্যান্ডেট’ অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ইন্স্যুরেন্স নিতে হতো বা জরিমানা গুণতে হতো অথবা নিয়োগকর্তাদের তাদের কর্মীদের স্বাস্থ্যসেবা কভারেজের আওতায় আনার উদ্যোগ নিতে হতো।
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, প্রশাসন ‘এসেনশিয়াল বেনিফিট’ও হ্রাস করার চেষ্টা করবে।
তবে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল অ্যাফোর্ড্যাবল কেয়ার অ্যাক্ট, যা ‘ওবামাকেয়ার’ নামে পরিচিতি পেয়েছিল। এই আইনটি বাতিল বা প্রতিস্থাপন করা ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোর কেন্দ্রে ছিল।