লিংকন মেমোরিয়ালের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প বলেছেন, আমেরিকানদের জীবনে তিনি পরিবর্তন এনে দেবেন।
দুই ঘণ্টার এই আয়োজনে ট্রাম্পের পাশে ছিলেন স্ত্রী মিলানিয়া আর পরিবারের সদস্যরা। আরও ছিলেন অভিনেতা জন ভয়েট, গায়ক স্যাম মুর।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের রেওয়াজ অনুযায়ী, চার বছর পরপর নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জানুয়ারির ২০ তারিখ স্থানীয় সময় বেলা ১২টায় প্রধান বিচারপতির কাছে শপথ নেন। তবে অভিষেকের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় আগের দিন সকালে, লিংকন মেমোরিয়ালে কনসার্টের মধ্য দিয়ে।
শপথ নেওয়ার আগে বৃহস্পতিবার বিকালে নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স আর্লিংটনের জাতীয় সমাধিতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এরপর বিকালে লিংকন মেমোরিয়ালে ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন! ওয়েলকাম সেলিব্রেশন কনসার্ট’ এর দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়, যেখানে ছিল শিল্পী টবি কিথ ও লি গ্রিনউডের পরিবেশনা।
“আমরা আমাদের সব মানুষের জন্য আমেরিকাকে অসাধারণ করে তুলব, সবার জন্য, সবার জন্য...।”
সমর্থকদের ট্রাম্প মনে করিয়ে দেন, ভোটের প্রচারের দিনগুলোতে তাদের সাফল্য নিয়ে অনেকেরই সংশয় ছিল।
“তারা আমাদের অনেক কিছুই ভুলে গিয়েছিল। যে নারী আর যে পুরষদের কেউ মনে রাখেনি, আমি তাদের বলেছিলাম, তোমরা আর বিস্মৃত কেউ নও।
ট্রাম্প আমেরিকানদের জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি দেন। সামরিক বাহিনীকে আরও সমৃদ্ধ করার, সীমান্তকে আরও সুরক্ষিত করার অঙ্গীকার করেন।
“আমরা সেই সব কাজে হাত দেব, বহু দশক ধরে যা করা হয়নি। পরিবর্তন আসবে। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, পরিবর্তন আসবে।”
আমেরিকার ভাবী ফার্স্ট লেডি সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় বলেন, “আগামীকাল আমরা কাজে নামছি।”
ওই অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, “আমাদের সঙ্গে অনেক স্মার্ট লোক আছে। আমি তোমাদের বলছি, একটি বিষয় আমি বুঝেছি, আগের যে কোনো মন্ত্রিসভার চেয়ে আমাদের আইকিউ বেশি।”
সন্ধ্যার কনসার্টের পর ট্রাম্পের বৃহস্পতিবার রাতটি কাটছে প্রেসিডেন্টের অতিথি ভবন ব্লেয়ার হাউজে। হোয়াইট হাউজ থেকে ওই বাড়ির দূরত্ব সামান্যই।