বুধবার আঘাত হানা ভূমিকম্পের কারণে এ তুষার ধস হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উদ্ধারকর্মীরা তুষরাধসে ৩০ জন নিখোঁজ থাকার কথা জানিয়েছেন।
ইতালির আবরুজ্জো অঞ্চলের গ্রান সাসো পবর্তমালার কাছের রিগোপিয়ানো নামের ওই হোটেলটিতে পৌঁছানোর জন্য রাতভর উদ্ধারকারীরা চেষ্টা করেছেন।
ইতালির গণমাধ্যম দুর্গত এলাকা থেকে তিনটি লাশ উদ্ধার পাওয়ার কথা জানিয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা এ খবরের ব্যাপারে কিছু বলেনি। তবে জীবিতদের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে তারা।
এক কর্মকর্তা প্রাথামক খবরে হোটেলটিতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান।
হোটেলটিতে ২ জন শিশুসহ ৩০ জনেরও মতো মানুষ ছিল। তুষার ধসের ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় পর দুজনকে জীবিত পাওয়া যায়। তারা ওই সময় হোটেলের বাইরে ছিলেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
হোটেলটির ছাদ আংশিক ধসে পড়েছে। নিকটবর্তী ফারিনদোলা এলাকার লোকজন জরুরি বিভাগকে খবর দেয়। কিন্তু তুষার ঝড় ও তুষার ধসে হোটেলটিতে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি কঠিন হয়ে পড়ে।
ইতালীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টায় উদ্ধারকারীদের প্রথম দলটি স্কি করে হোটেলটিতে পৌঁছতে সক্ষম হয়।
উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, তুষার ধসের সময় রিগোপিয়ানো হোটেলে অন্তত ২০ জন পর্যটক ও সাতজন কর্মী ছিলেন।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকারী দলের এক কর্মী জানান, “হোটেলটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা ডাকাডাকি করেও কারও কোনও সাড়াশব্দ পাচ্ছিনা। আমরা ধ্বংসস্তুপ খুঁড়ে জীবিতদের সন্ধান করছি।”
ইতালির মধ্যাঞ্চলের এই এলাকাটিতে বুধবার পরপর চারটি ভূমিকম্প হয়। রাতে আরও ভূমিকম্প হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আবরুজ্জো, মার্চি এবং ল্যাজিওতে প্রবল তুষারপাতের পর ভূমিকম্পগুলো হয়। এতে ওই এলাকার অনেকগুলো গ্রামের প্রবেশ পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ওই গ্রামগুলোতে পৌঁছতে জরুরি বিভাগের কর্মীরা সারারাত ধরে কাজ করেছেন।
২৪ অগাস্ট এই এলাকায় বড় ধরনের এক ভূমিকম্পে ২৯৮ জন নিহত হয়েছিলেন।