তিনি বলেন, ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়া অর্থাৎ ‘ব্রেক্সিট’ আলোচনার আওতায় যুক্তরাজ্য ইউরোপের একক বাজারেও আর থাকতে পারবে না। কারণ, বাজার থেকে বেরিয়ে না গেলে সেটি আসলে ইইউ পুরোপুরি ত্যাগ করা হল না।
বিষয়টি পরিষ্কার করে মে বলেন, “আমি যা বলছি তা হচ্ছে যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক বাজারের সদস্য থাকতে পারে না। কারণ, তাহলে এ বাজারের সব ইইউ নীতিমালা যুক্তরাজ্যকে মেনে চলতে হবে। আর সেরকম হলে ইইউ তো আদৌ ত্যাগ করা হল না।”
বরং তিনি বলেন, “ইইউ একক বাজার থেকে বেরিয়ে গিয়ে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আওতায় নতুনভাবে এ বাজারে প্রবেশের চেষ্টা নেওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ইইউ এর সঙ্গে পুরোপুরি একটি নতুন চুক্তি হবে। আমরা স্বাধীন এবং স্বশাসিত দেশ হিসাবে ইইউ দেশগুলোর সঙ্গে নতুন এবং সমান অংশীদারিত্ব চাই।”
তাছাড়া, ইইউ থেকে বেরিয়ে গেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যুক্তরাজ্যের যে বিশাল অবদান ছিল সেটিরও ইতি ঘটবে বলে জানান মে।
অন্যদিকে, চূড়ান্ত ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে পার্লামেন্টের উভয়কক্ষে ভোট অনুষ্ঠানেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন টেরিজা মে ।
লন্ডনে ব্রেক্সিট নিয়ে দীর্ঘপ্রতিক্ষীত এক ভাষণে মে বলেন, যুক্তরাজ্য একবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়ার চূড়ান্ত চুক্তিতে উপনীত হলে এটির অনুমোদন নেওয়ার জন্য পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্স এবং হাউজ অব লর্ডসে ভোটাভুটির আয়োজন করবে।
মার্চ মাসের শেষ নাগাদ দু’বছর ব্যাপী ব্রেক্সিট আলোচনা প্রক্রিয়া শুরু করার পরিকল্পনা তার রয়েছে বলে জানান মে।