ইস্তাম্বুলে হামলাকারী ‘আফগানিস্তানে প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী’

নতুন বছরের প্রথম প্রহরে রেইনা নাইটক্লাবে চালানো প্রাণঘাতী হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার সন্দেহভাজন আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল বলে জানিয়েছেন ইস্তাম্বুলের গভর্নর।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Jan 2017, 10:29 AM
Updated : 17 Jan 2017, 10:39 AM

আব্দুলকাদির মাশারিপভ বলে শনাক্ত হওয়া ওই উজবেক জানুয়ারি, ২০১৬-তে তুরস্কে প্রবেশ করেছে, এমন ধারণা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গভর্নর ভাসিপ সাহিন, খবর বিবিসির।

গ্রেপ্তার মাশারিপভ হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছে এবং তার আঙ্গুলের ছাপ ঘটনাস্থলে পাওয়া আঙ্গুলের ছাপের সঙ্গে মিলেছে বলেও জানিয়েছেন সাহিন। 

সোমবার রাতে ইস্তাম্বুলের এসাইনয়ুর্থ এলাকার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই ফ্ল্যাট থেকে মাশারিপভের বন্ধু এক কিরগিজ নাগরিক ও অপর তিন নারীকেও আটক করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা গেছে, এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা মাশারিপভের ঘাঁড় ও গলায় ধরে আছেন এবং তার মুখ থেতলানো ও রক্তাক্ত।

মাশারিপভের সঙ্গে তার চার বছরের ছেলেকে পাওয়া গেছে বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা অস্বীকার করেছে গভর্নর সাহিন।

তিনি জানান, ছেলে নয়, ওই ফ্ল্যাট থেকে কয়েকটি পিস্তল, গুলি ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রেইনা নাইটক্লাবে হামলার সন্দেহভাজন বন্দুকধারীর ছবি হাতে তুরস্কের এক পুলিশ সদস্য। রয়টার্স

সাহিন বলেন, “তাকে আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সে চারটি ভাষায় কথা বলতে পারে। সে একজন সুপ্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী।”

১৯৮৩ সালে উজবেকিস্তানে জন্ম নেওয়া এই ব্যক্তি পরিবারসহ ২০১৬-র শুরুতে তুরস্কের কোনিয়ায় আসেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। সে নিজেকে আবু মুহাম্মদ হোরাসানি নামে পরিচয় দিত বলে জানা গেছে।

তুরস্কের গণমাধ্যগুলো তাকে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সদস্য বলে বর্ণনা করেছে। 

ইস্তাম্বুলের অভিজাত রেইনা নাইটক্লাবে চালানো ওই হামলায় ৩৯ জন নিহত ও বহু আহত হন। নিহতদের মধ্যে তুরস্ক, সৌদি আরব, জর্দান, লেবানন, ইসরায়েল, তিউনিসিয়া, ভারত, ফ্রান্স ও বেলিজিয়ামের লোক আছেন।

তথাকথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস) এই হামলার দায় স্বীকার করেছিল। বলেছে, সিরিয়ায় তুরস্কের সামরিক অভিযানের প্রতিশোধ এ হামলা।