সোমবার পরিবারের সদস্য পরিবেষ্টিত অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনোটিক্স এন্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) ।
তার পরিবার থেকে দেওয়া ও নাসার প্রকাশ করা আরেকটি বিবৃতিতে তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে ‘স্বাস্থ্যজনিত জটিলতার’ কথা বলা হয়েছে।
১৯৩৪ সালের ১৪ মার্চ শিকাগোতে জন্মগ্রহণকারী এই নভোচারী মহাশূন্যে হেঁটে বেড়ানো নভোচারীদের মধ্যেও দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিলেন।
এ সময় লুনার রোভিং ভেহিকল নিয়ে তারা চাঁদের বুকে ৩০ কিলোমিটারেরও বেশি ঘুরে দেখেন। চাঁদের পাহাড় ও খানা-খন্দে তিনদিনে ২২ ঘন্টার অভিযানে তারা ১০০ কেজি চাঁদের পাথর সংগ্রহ করেন।
মাত্র ১২ জন নভোচারী চাঁদের বুকে হেঁটেছিলেন। তারা সবাই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। এদের মধ্যে মাত্র ছয়জন এখনও বেঁচে আছেন।
তাদের পর আর কেউ চাঁদে যাননি।
প্রথমবারের মতো চাঁদে নেমে সারনান হিউস্টনের মিশন কন্ট্রোলকে বলেছিলেন, ‘অবিশ্বাস্য’।
ফিরে আসার সময় মিশন কন্ট্রোলকে বলেছিলেন, “আমরা চাঁদ ছেড়ে যাচ্ছি, যেমন আমরা এসেছিলাম এবং খোদার ইচ্ছায়, আমরা সব মানুষের জন্য শান্তি ও আশা নিয়ে ফিরবো।”
স্মিথের পর তিনি চাঁদের মাটি থেকে মহাশূন্য যানের সিড়িতে পা রাখেন। এভাবে সর্বশেষ নভোচারী হিসেবে চাঁদের বুকে নিজের পদচিহ্ন রেখে আসেন তিনি।
পরবর্তীতে সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি আরও কিছুক্ষণ চাঁদে থাকতে চেয়েছিলেন।
অ্যাপোলো ১৭ মিশনের আগে ১৯৬৬ ও ১৯৬৯ সালে আরো দুইবার তিনি মহাশূন্যে গিয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর সাবেক এই পাইলট ১৯৭৬ সালে অবসরে যান। এরপর ব্যক্তিগত ব্যবসা ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে বিভিন্ন বিষয়-ভিত্তিক অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী নাননা সারনান, এক কন্যা ও দুই সৎ-কন্যা এবং নয় নাতি-নাতনি রেখে যান।
নাসার অপর নভোচারী জন গ্লেনের মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সারনানের মৃত্যু হল।