পরমাণু চুক্তির বিনিময়ে রাশিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলবেন ট্রাম্প

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে পরমাণু অস্ত্র হ্রাস চুক্তির বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দেবেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Jan 2017, 02:30 PM
Updated : 16 Jan 2017, 02:30 PM

 ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়াকে ছিনিয়ে নেওয়ায় মার্কিন প্রশাসন রাশিয়ার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করবেন ট্রাম্প। তার আগে যুক্তরাজ্যের ‘টাইমস অব লন্ডন’ পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ওই প্রস্তাব দেওয়া কথা বললেন তিনি।

আগের মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে ট্রাম্প বলেন, ইরাকে আগ্রাসন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে মারাত্মক ভুল। ‘মৌচাকে ঢিল মারা’র মতো।

তবে ২০ জানুয়ারির শপথ অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের পথে এই প্রথম সবচে বড় পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প। ২০১০ সালে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র স্ট্র্যাটেজিক আর্মস রিডাকশন ট্রিটি চুক্তির পর ট্রাম্প এখন নতুন চুক্তিতে যেতে চাইছেন।

ওবামা প্রশাসনের সময়ে রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ট্রাম্প বলেন, “তারা রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। দেখা যাক, আমরা রাশিয়ার সঙ্গে এর চেয়ে ভাল কোনও চুক্তি করতে পারি কিনা।”

সোমবার ট্রাম্পের সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ পায়। এতে ট্রাম্প বলেন, “এক কথায় বলতে গেলে, পরমাণু অস্ত্র তৈরি অবশ্যই হ্রাস করতে হবে এবং খুবই উল্লেখযোগ্যমাত্রায় এর ব্যবহার কমাতে হবে বলেই আমি মনে করি।”

“কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়াকে বর্তমানে খুবই অসুবিধার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। যদিও আমার বিশ্বাস এমন কিছু হবে যার মাধ্যমে অনেক মানুষ উপকৃত হবে।”

বিশ্বে বড় পরমাণু শক্তিধর দেশ দুইটি হলো যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী,  যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১৩৬৭টি পরমাণু ওয়ারহেড রয়েছে। রাশিয়ার কাছে ওই ধরনের ওয়ারহেডের সংখ্যা ১৭৯৬টি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের শুরু থেকেই নিজের রাশিয়া প্রীতির জন্য সমালোচিত ছিলেন ট্রাম্প। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও ট্রাম্পের উচ্চ প্রশংসা করেছেন।

নির্বাচনে ট্রাম্পকে জেতাতে রাশিয়া হ্যাকিং এর আশ্রয় নিয়েছে বলেও অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র।

এত আলোচনা-সমালোচনার পরও ট্রাম্প বলেছেন, তিনি মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী।