‘মরক্কোয় বোরকার উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধ’

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বোরকার উৎপাদন, আমদানি ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে মরক্কো।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Jan 2017, 06:37 AM
Updated : 11 Jan 2017, 06:37 AM

প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, ওই নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়ে সোমবার ব্যবসায়ীদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে, এতে নির্দেশনা বাস্তবায়নে তাদের ৪৮ ঘন্টা সময় দেওয়া হয়েছে। 

এ বিষয়ে সরকারি কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি, কিন্তু নাম উল্লেখ করা হয়নি এমন কর্মকর্তারা দোকানদারদের জানিয়েছেন, ‘নিরাপত্তাজনিত কারণে’ সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে।

মরক্কো বোরকা পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিনা তা পরিষ্কার হওয়া যায়নি।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এলই৩৬০ নিউজ সাইটকে বোরকা নিষিদ্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

“ডাকাতরা এই পোশাকটি ব্যবহার করে বারবার তাদের উদ্দেশ্য সাধন করছে,” বলেছেন ওই কর্মকর্তা।

পুরো মুখ ও শরীর ঢেকে রাখা বোরকা মরক্কোয় বহুল ব্যবহৃত পোশাক না। অধিকাংশ নারীই হিজাব ব্যবহার করেন, এতে মুখ ঢাকা পরে না।

দেশটির উত্তরাঞ্চলের রক্ষণশীল এলাকাগুলোর সালাফি চক্রের নারীরা প্রধানত নেকাব ব্যবহার করেন। নেকাবে শুধু চোখের অংশটুকু উন্মুক্ত থাকে।

মরক্কোর বাদশা ষষ্ঠ মোহাম্মদ ইসলামের মধ্যপন্থি ধারার পক্ষপাতী। কিন্তু সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশজুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

‘কট্টরপন্থার’ সঙ্গে কথিত সম্পর্কের কারণে অক্টোবরের পার্লামেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ানোর সুযোগ না পাওয়া আলেম হাম্মাদ কাব্বাজ এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করে একে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি ‘মরক্কোর মানবাধিকার ও স্বাধীনতাকে’ ব্যঙ্গ করে বলেছেন, “এটি সৈকতে পশ্চিমা স্নানের পোশাক পরাকে শুধু স্পর্শাতীত অধিকার বলে বিবেচনা করে।”

নর্দান মরোক্কান ন্যাশনাল অবজারভেটরি ফর হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট বলেছে, এই সিদ্ধান্তকে তারা সরকারের ‘খামখেয়ালিপূর্ণ’ সিদ্ধান্ত বলে বিবেচনা করছে।

অপরদিকে দেশটির সাবেক পরিবার ও সমাজ উন্নয়ন মন্ত্রী নৌঝা স্কাল্লি এই সিদ্ধান্তকে ‘ধর্মীয় উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ অভিহিত করে একে স্বাগত জানিয়েছেন।