শুক্রবার হোয়াইট হাউজে এ বছরের শেষ সংবাদ সম্মেলনে ওবামা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র প্রতিবেদন তিনি দেখেছেন।
“প্রতিবেদন দেখার পর আমি প্রায় নিশ্চিত যে, রাশিয়াই ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটি এবং ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনের প্রচার শিবিরের প্রধান জন পোডেস্টার ইমেইল হ্যাক করেছে।”
রাশিয়া সম্পর্কে ওবামা বলেন, “রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে দুর্বল ও ছোট দেশ এবং তেল, গ্যাস ও অস্ত্র ছাড়া অন্যদের কাছে বিক্রি করার মত আর কোনো পণ্য তারা উৎপাদন করতে পারে না।”
রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেতাতে রাশিয়া এ কাজ করেছে বলেও মনে করেন ওবামা।
যদিও রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উভয়ই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
হ্যাক হওয়া ইমেইল থেকে ওয়াল স্ট্রিট এর জন্য দেওয়া হিলারির বক্তৃতা, দলের গোপনীয় তথ্য এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় রাষ্ট্রীয় কাজে হিলারির ব্যক্তিগত ইমেইল সার্ভার ব্যবহার করা নিয়ে তার শীর্ষ সহযোগীদের মন্তব্য প্রকাশ পেয়ে যায়।
যার ফলে গণমাধ্যমে হিলারি ও ডেমোক্রেটিক দলের জন্য বেশ কিছু অস্বস্তিকর খবর প্রকাশ পায় এবং দলের কয়েকজন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন।
হিলারির পক্ষে ব্যাপক প্রচার চালানো ওবামা বলেন, তার (হিলারির) সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “রুশ সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এ কাণ্ড ঘটানো হয়েছে।”
পুতিন ব্যক্তিগতভাবে এর সঙ্গে জড়িত বলে তিনি মনে করেন কী না? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবামা বলেন, “পুতিনের সম্মতি ছাড়া রাশিয়ায় তেমন কোনো ঘটনাই ঘটে না।”
সেপ্টেম্বরে চীনে জি২০ সম্মেলনের সময় পুতিনকে আমেরিকার রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ না করার বিষয়ে তিনি সতর্ক করেছিলেন বলেও জানান ওবামা।
তবে ওবামা একই সঙ্গে এটাও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইলেক্ট্রনিক ভোটিং ব্যবস্থায় অবৈধ হস্তক্ষেপ হয়েছে বলে তিনি বিশ্বাস করেন না।
২০ জানুয়ারি ওবামার মেয়াদ শেষ হবে। তার আগে ইমেইল হ্যাক হওয়া নিয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রস্তুতের জন্য তিনি সিআইএ কর্মকর্তাদের সময় দিতে চান।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের দুইজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ট্রাম্পকে জেতাতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে সিআইএ যে প্রতিবেদন দিয়েছে সেটা এফবিআইও সমর্থন করেছে।