বিবিসির এক খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে ভোটে হারানো ট্রাম্প টাইমের খেতাব জয়ের দৌড়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকেও হারিয়েছেন।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এনবিসিকে বলেছেন, এ এক ‘বিরাট সম্মান’, এই স্বীকৃতি তার জন্য ‘অনেক কিছু’।
আর টাইম ম্যাগাজিনের ৯০তম ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণায় বলা হয়েছে, প্রতি বছর তারা এমন এক ব্যক্তির নাম ঘোষণা করে, বছরের ঘটনাপ্রবাহে যার দারুণ প্রভাব ছিল- সে ভালো বা খারাপ যাই হোক না কেন।
“এ বছরের উত্তরটি কী? ভালো না খারাপ? এ প্রশ্নে সারা দেশে যে বিপুল সংখ্যক মানুষ দ্বিমত পোষণ করবে, তাই হবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।”
অভিবাসী, মুসলমান ও নারীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে সমালোচনা, একের পর এক নারীর যৌন নিপীড়নের অভিযোগ, রিপাবলিকান পার্টির অনেক রথি-মহারথি সমর্থন প্রত্যাহার এবং অনেক বিশ্ব নেতা ও বুদ্ধিজীবীর প্রকাশ্যে অনাস্থা প্রকাশও ট্রাম্পের হোয়োইট হাউজের টিকেট পাওয়া ঠেকাতে পারেনি।
টাইম ম্যাগাজিনের বিচারে, রিয়েল এস্টেট ব্যবসা থেকে রিয়েলিটি টিভি তারকা এবং তারপর ভোটে এসে প্রেসিডেন্ট বনে যাওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার রাজনীতির রীতিনীতি নতুন করে লিখেছেন ।
এবারের ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় যুক্তরাজ্যের ইনডিপেনডেন্ট পার্টির সাবেক নেতা নাইজেল ফারাজের নামও ছিল, যার সফল প্রচারের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় এসেছিল গণভোটে।
ফেইসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গ, সংগীত শিল্পী বিয়ন্সে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামও ছিল এই তালিকায়।
টাইমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ন্যান্সি গিবস জানিয়েছেন, তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে এসেছে হিলারি ক্লিনটনের নাম। আর ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে ট্রাম্পের জয় ছিল একচেটিয়া।